স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন

পিরোজপুরে তাসলিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী মানিক আকনকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।

আদালত মানিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে মানিককে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মানিক মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের পাঁচশতকুড়া গ্রামের মৃত কাদের আকনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঁচশতকুড়া গ্রামের মানিক আকনের সঙ্গে ১৪ বছর আগে একই উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের তাসলিমা বেগমের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির দুটি সন্তান আছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে মানিক তাসলিমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই ভোর পাঁচটার দিকে মানিক মাছ ধরার কথা বলে তাসলিমাকে বাড়ির পাশের হলতা খালে নিয়ে যান। এরপর তিনি তাসলিমাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেন। পরের দিনদুপুরে স্থানীয় লোকজন খালে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং মানিককে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই মো. জাফর বাদী হয়ে মানিককে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ মানিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জহিরুল ইসলাম। আসামির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফাতেমা বেগম।