জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশ-বিদেশের অতিথিরা এই উৎসবে যোগ দেবেন। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানের মূল থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। তবে বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানের পৃথক থিম থাকছে। ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানের থিম ‘ভেঙেছ দুয়ার এসেছো জ্যোতির্ময়’।

অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ভারতের রাষ্ট্র-সরকারপ্রধানেরা পৃথক সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আসবেন। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে দুই দিনের সফরে ১৯ মার্চ ঢাকায় পৌঁছাবেন। নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি দুই দিনের সফরে ২২ মার্চ ঢাকায় আসবেন। সফরসূচি অনুযায়ী, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকায় আসবেন। তিনি ২৭ মার্চ দেশে ফিরে যাবেন।

নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সলিহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সলিহ বঙ্গভবনে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, এ সময় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। পরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনের দরবার হল গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত এক নৈশভোজ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।