স্বাধীনতাসংগ্রামে বেতারের ভূমিকা লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, এ দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে বেতারের ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আজ শনিবার বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর আয়োজিত র‌্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া।

হাছান মাহমুদ বলেন, যাঁরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছেন, তাঁরা জানেন, মুক্তিকামী এ দেশের মানুষের মধ্যে কী উদ্দীপনা জাগাত সে সময়ের অনুষ্ঠান। আর মানুষ কী উন্মুখ হয়ে থাকত তা শোনার জন্য।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম এম এ হান্নান পাঠ করেন। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন, পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাবার জন্য এটি শোনানো প্রয়োজন।

হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু স্বাধীনতাসংগ্রামেই নয়, স্বাধীনতা–পরবর্তী দেশ গঠনেও বেতার তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতির নানা বিষয় বেতার পৌঁছে দিচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লাদের কাছে বেতারই সম্বল, পাহাড়ের চূড়াতেও বেতারই শোনা যায়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বার্তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ বেতার।

এ বছর ইউনেস্কো ঘোষিত দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব নতুন বেতার’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ বেতার এখন মুঠোফোন অ্যাপসে শোনা যায়। এ পর্যন্ত দেশের আটটি বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান অ্যাপসের আওতায় এসেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেশব্যাপী সম্প্রচার শুরু হয়েছে।