স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ

ফাইল ছবি

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ। আজ বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে এটি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শিগগিরই এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জানাবে। এর আগে ১১ মার্চ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে সমালোচনার মুখে সাহিত্যে প্রয়াত আমির হামজার পুরস্কারটি বাতিল করে সরকার। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়। স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পুরস্কার।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি বিরাট ঘটনা। এককভাবে এ কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, সাহসিকতা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে এই মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দলগতভাবে কাজ করছেন।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এসব সমালোচনা ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য অনেক বড় সাফল্য।

সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রামের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের আগেই এটি করা সম্ভব হয়েছে। ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন। শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য সব মিলে বিচ্ছিন্ন চর ও দ্বীপের ১ হাজার ১৪৬টি গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ–সংযোগ।