সড়কের গর্তে হাঁটুপানি

নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে সড়কের এসব গর্তে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়কে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। সড়কের পাশেই অবস্থিত আদমজী ইপিজেড ও গোদনাইল এলাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ডিপো, নারায়ণগঞ্জ সাইলো ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ছোট-বড় বহু শিল্পকারখানা। এসব প্রতিষ্ঠানের সব যানবাহনই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন যানবাহনও এ সড়কটি ব্যবহার করে। দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না হওয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। খানাখন্দ আর গর্তের কারণে এলাকাবাসীকে রিকশা ও ভ্যানসহ ধীর গতির যানবাহনে চলাচল করতে হচ্ছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, বেবিট্যাক্সি ও ব্যাটারিচালিত রিকশা এই সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই উল্টে যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত সড়কটি মেরামতের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্থানীয় লোকজন ও ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন।
মিজমিজির বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, এ সড়কের নির্মাণাধীন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে আছে। সড়কের বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাতে গর্তগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়। ওমরপুরের রিকশাচালক সালাহউদ্দিন বলেন, খানাখন্দে ভরা থাকায় সড়কটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশা চালাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সড়ক উপবিভাগ-২-এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) মো. জাফরুজ্জামান মিয়া বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণাধীন একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাটি খননকাজ চলাকালে পানি ফেলে সড়কটি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের জন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে।