হজের নিবন্ধন করেছেন তো?

ইতিমধ্যে হজযাত্রীদের প্রাক্‌-নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন হজযাত্রীদের দ্বিতীয় ধাপে নিবন্ধন করতে হবে।

এর আগে ৩০ হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি জমা দিয়ে প্রাক্‌-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর পেয়েছেন হজযাত্রীরা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক্‌-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর ২১৭,২৮৮ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। এখন হজ প্যাকেজে ঘোষিত বাকি টাকা জমা দিতে হবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাহরামসহ একই সঙ্গে হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন ফরম পূরণ করে হজ প্যাকেজ ১-এর অবশিষ্ট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৮ টাকা এবং প্যাকেজ ২-এর অবশিষ্ট ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৫৫ টাকা সোনালী ব্যাংক লিমিটেড স্থানীয় কার্যালয় মতিঝিল, ঢাকা ০০০২৩৩০০৯০৮ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাবে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম ২৮ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

এদিকে চলতি বছর হজের প্রাক্‌-নিবন্ধনে আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের বিরুদ্ধে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) কারিগরি অনিয়মের অভিযোগ করে। তবে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আন্তমন্ত্রণালয় কারিগরি সদস্যদের নিয়ে গঠিত কমিটি) যাচাই-বাছাই কমিটি হাবের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন, ২ হাজার ৬০৪ জন গাইড এবং ৮৫০ জন মোনাজ্জেম নিবন্ধন করবেন। চলতি বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৫ ক্রমিক নম্বর থেকে প্রাক্‌-নিবন্ধন শুরু হয়। সে হিসেবে অতিরিক্ত ৭১ হাজার বেশি প্রাক্‌-নিবন্ধন হয়েছে। আর সরকারি পর্যায়ে ৩ হাজার ৫৪২ জন প্রাক্‌-নিবন্ধন শেষ করেছেন।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দালাল হজযাত্রীদের নানাভাবে প্রতারিত করছে। দালালেরা বলছে, প্রাক্‌-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর পেছনে থাকলেও বাড়তি টাকা দিলে সামনের দিকে এনে দেওয়া হবে। অথবা সৌদি কোটা বৃদ্ধি করা হবে, সরকারি কোটা পূরণ হবে না। পাঁচ-ছয় হাজার খালি থাকবে। সেসব খালি কোটায় নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ দালালদের এ ধরনের কথায় বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য প্রাক্‌-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর ২১৭,২৮৮ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ ২১৭,২৮৮ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের মধ্যে থাকলেই তবে বাকি টাকা জমা দেবেন। অন্যথায় প্রতারিত হতে পারেন।