হত্যাকারীদের ৩ লাখ টাকা পাঠানোর কথা বললেন সাইফুলের কর্মচারী

বাবুল আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় অংশ নেওয়া আসামিদের তিন লাখ টাকা দেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে দেওয়া এক সাক্ষীর জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে আসে।

সাক্ষীর নাম মোখলেছুর রহমান। তিনি বাবুল আক্তারের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হকের কর্মচারী। এর আগে ১১ মে সাইফুল হক ও গাজী আল মাহমুদ সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে একই তথ্য জানিয়ে ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, মিতু হত্যার দুই থেকে তিন দিন পর বিকাশের মাধ্যমে বাবুল আক্তারের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হক তিন লাখ টাকা দেন কাজী আল মাহমুদকে। মাহমুদ নিখোঁজ মুসার আত্মীয়। এ বিষয়ে সাইফুলের কর্মচারী মোখলেছুর রহমান আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে মোখলেছুর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি সাইফুলের কর্মচারী। বাবুল আক্তার তিন লাখ টাকা দেওয়ার জন্য সাইফুলকে ফোন করেন। পরে সাইফুল তাঁর মাধ্যমে টাকাগুলো বিকাশের মাধ্যমে কাজী আল মাহমুদকে দেন। পরে জানতে পারেন যে তিনি টাকাগুলো তাঁর আত্মীয় (স্ত্রীর বোনের ছেলে) মুসাকে দেন। মুসা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বাকি আসামিদের মধ্যে ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না।

১২ মে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন। এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে মাহমুদা খানম মিতু খুনের ঘটনায় বাবুলের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। মিতুর বাবার করা মামলায় ওই দিনই বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তাঁকে এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রাজি হন বাবুল। বিচারকের খাসকামরা থেকে জবানবন্দি না দিয়ে ফিরে আসেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।