হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমনির মাদক মামলার কার্যক্রম চলবে

পরীমনি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন। এর ফলে পরীমনির বিরুদ্ধে ওই মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। দাবি করা হয়, ওই সময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযোগ গঠনের পর ওই মামলা বাতিল চেয়ে পরীমনির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরীমনির ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। অন্য দিকে পরীমনির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।

নিপুণের বিরুদ্ধে অবমাননার আবেদন

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতের আদেশ অনুসরণ না করার অভিযোগে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। আবেদনটি আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৩ মার্চ শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। আদালতে জায়েদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া।

পরে আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। ফলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়। এ রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন নিপুণ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিতের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনে স্থিতাবস্থাও বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। এ আদেশ না মানায় নিপুণ আক্তার ও আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করা হয়।