হাইকোর্টের এক বেঞ্চে নারী আইনজীবীদের অগ্রাধিকার

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে মামলার শুনানির ক্ষেত্রে নারী আইনজীবীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

বেঞ্চটির কার্যক্রম শুরু হলে আদালত বলেন, ‘নারী আইনজীবীরা আজ অগ্রাধিকার পাবেন। নারী আইনজীবী যাঁরা আছেন, তাঁরা থাকেন। মেনশন স্লিপ (নতুন মামলা) দিয়ে দেন। এক এক করে ডাকা হবে। তাৎক্ষণিক শুনে দেওয়া হবে। যেসব মামলায় মেরিট (সারবত্তা) আছে, সেগুলো উপস্থাপন করেন, তাহলে সহজ হবে। নারী আইনজীবীদের সম্মানে অন মেরিটে (বিষয়বস্তুর) শুনানি হবে।’

এরপর নারী আইনজীবীদের স্লিপ (নতুন মামলা) জমা দিতে ও শুনানিতে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় আদালতকক্ষ নারী আইনজীবীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ ছিল।

আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও দিবসটি সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নারী দিবস পালনে নানা উদ্যোগ ও কর্মসূচি নিয়েছে।

জাতিসংঘ এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ’। জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, এই মূল প্রতিপাদ্যের আলোকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।

১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে সাম্যবাদী নারীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন জার্মানির কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেটকিন। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাণীতে বিশ্বের সব নারীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘নারী তাঁর মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি ও উন্নয়নে সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিত করেছে।’