হাঙ্গেরির পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী রওনা হয়েছেন। সেখানে তিনি পানি সম্মেলনে অংশ নেবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের বুদাপেস্ট ওয়াটার সামিটের (বিডব্লিউএস-২০১৬) বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানোস এডার আমন্ত্রণে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ-হাঙ্গেরিয়ান বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক ফোরামের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

সিকিউরিটি পলিসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইস্টভ এন মিকোলা, হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ও বাংলাদেশে নিযুক্ত হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূত জুলা পেথো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোর সিজন্স হোটেল গ্রিসহাম প্যালেস বুদাপেস্টে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররাফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য সম্মানীয় অতিথির সঙ্গে সাসটেইনেবল ওয়াটার সলিউশন এক্সপো পরিদর্শন করবেন। পরদিন মঙ্গলবার তিনি শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রেসিডেন্ট জানোস এডার আমন্ত্রণে ওয়ার্কিং মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।

আগামীকাল সকালে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে কসুদ স্কয়ারে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হবে। বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গতকাল শনিবার বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা, পানি ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সহযোগী ও কৃষি বিষয়ে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও হাঙ্গেরিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে।

শেখ হাসিনা আগামীকাল বিকেলে হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট জানোস এডার সঙ্গে সান্দর প্রেসিডেনশিয়াল প্রাসাদে বৈঠক করবেন।

আগামী বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।