হাজি সেলিমের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি ১ আগস্ট

হাজি মো. সেলিম
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে ১০ বছরের দণ্ডিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের জামিন আবেদন ১ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

১০ বছরের সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাজি সেলিম। আজ আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে সাঈদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ১০ বছরের সাজার রায় বাতিল চেয়ে করা লিভ টু আপিলের পাশাপাশি হাজি সেলিমের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে চেম্বার আদালত আগামী ১ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। হাজি সেলিম বয়স্ক, অসুস্থ, একজন সংসদ সদস্য এবং হাইকোর্টে আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ১৩ বছর তিনি জামিনে ছিলেন। তখন তিনি জামিনের অপব্যবহার করেননি—মূলত এসব যুক্তিতে তাঁর জামিন চাওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, হাজি সেলিমকে জামিন না দিয়ে চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১ আগস্ট শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। হাজি সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল থাকায় তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাই সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি জামিন পেতে পারেন না বলে শুনানিতে বলেছি।

দুদকের করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাজি সেলিমের করা আপিলের ওপর গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাঁকে ১০ বছরের সাজা বহাল এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছরের সাজা থেকে খালাস দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায় অনুসারে ২২ মে হাজি সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তিনি জামিনের আবেদন জানান। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজি সেলিমকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়। হাজি সেলিম এখন হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন। তবে আত্মসমর্পণের পর ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে ২৪ মে লিভ টু আপিলের পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন করেন হাজি সেলিম।

এদিকে হাইকোর্টের রায়ে তিন বছরের সাজা থেকে হাজি সেলিমকে খালাসের বিরুদ্ধে ১০ মে লিভ টু আপিল করে দুদক। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ বিচারিক আদালতের রায়ে হাজি সেলিমের তিন বছরের সাজা হয়। হাইকোর্ট তাঁকে এই সাজা থেকে খালাস দেন। এর বিরুদ্ধে দুদকের করা লিভ টু আপিলে হাজি সেলিমকে দেওয়া তিন বছরের সাজা পুনর্বহাল চাওয়া হয়েছে। চেম্বার আদালতে আসছে বুধবার লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে।

আরও পড়ুন