হাটহাজারীতে স্মার্ট গ্রুপের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

স্মার্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আল-রাজি কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরির কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ মানুষ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দক্ষিণ পাহাড়তলীর ঠান্ডাছড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্মার্ট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আল–রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্স লিমিটেডের হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড তৈরির কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের বিক্ষোভের মুখে সোমবার সন্ধ্যার পর কারখানার ফটক বন্ধ করে সেখান থেকে এই রাসায়নিক আনা–নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।

হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরির কারখানা হাটহাজারীর জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দক্ষিণ পাহাড়তলীর ঠান্ডাছড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

সীতাকুণ্ডে যে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, সেই ডিপোর মালিকানায় রয়েছে স্মার্ট গ্রুপ। সেখানে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আল–রাজী কেমিক্যালের হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড উৎপাদনের কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাটহাজারীর দক্ষিণ পাহাড়তলীর ঠান্ডাছড়ি এলাকায়।

কারখানাটি বন্ধ করতে ২০০–৩০০ স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফায় বিক্ষোভ করেন। কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে সেটা বন্ধা করার দাবিতে স্লোগান দেন তাঁরা।

বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের কনটেইনার বিস্ফোরণে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। এখানে যেহেতু এই রাসায়নিক উৎপাদন করা হয়, তাতে এটা সীতাকুণ্ডের ডিপো থেকেও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কারখানাটি জনবহুল এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে। কারখানার পাশে কয়েকটি বসতি রয়েছে। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।

কারখানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুরুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর থেকে দিনভর ওই কারখানার সামনে দফায় দফায় অবস্থান ও বিক্ষোভ চলে। সন্ধ্যার দিকে কারখানাটি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারখানার ব্যবস্থাপক মবিন হোসেন খান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের বিক্ষোভের কারণে আপাতত কারখানায় পণ্য আনা–নেওয়ার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ভেতরে প্রয়োজনীয় উৎপাদনের কাজ চলছে।

কারখানাটি এই এলাকা থেকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরী বলেন, কারখানাটি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী শফিউল আজমও কারখানাটি জনবহুল এই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।