হেফাজত ও চরমোনাইয়ের সমর্থন কার পক্ষে যাবে?
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থীদের কে পাবেন হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাইয়ের অনুসারী ইসলামী আন্দোলনের ভোট, তা নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে প্রচারণার শুরু থেকেই। হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে কাউকে সমর্থন না দেওয়ার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হলেও বিতর্ক থামেনি।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী শওকত হোসেনের মনোনয়নপত্রে সমর্থক হিসেবেই রয়েছেন হেফাজতের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত মাওলানাদের একজন নূরুর রহমান বেগ। শওকত হোসেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দোয়া নিয়ে।
হেফাজত ও চরমোনাইকে নিজেদের পক্ষে টানার জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আহসান হাবিব।
আহসান হাবিবের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি সাংসদ মজিবর রহমান নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর প্রথম দিনে শওকত হোসেনকে নাস্তিকদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তাঁরা হেফাজতে ইসলামের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা নাস্তিক ব্লগারদের মদদদাতা। তাঁদের ভোট দেবেন না। পরে শওকত হোসেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযোগ আনলে এ প্রচারণা বন্ধ হয়।
নূরুর রহমান বেগ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে শওকত হোসেনের মনোনয়নপত্রে সমর্থন করেছি। এটি কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয়।’
গত মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের বরিশাল মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসলামবিরোধী, নাস্তিক-মুরতাদদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদদাতাদের বিরুদ্ধে রয়েছে হেফাজতে ইসলাম। কাজেই বরিশালে মেয়র পদে হেফাজতের সমর্থন নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হামিদ জানান, গত মঙ্গলবার এক সভায় মেয়র পদে কাউকে সমর্থন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় তাঁদের কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা যেন কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হন, সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।