১৯ দিন ধরে অচল সিটি স্ক্যান যন্ত্র

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ১৯ দিন ধরে অচল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও যন্ত্রটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কবে নাগাদ যন্ত্রটি চালু হতে পারে, তাও বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। অন্য জায়গায় এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা করাতে দ্বিগুণেরও বেশি খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি হাসপাতালের একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। এর দুই দিন পর যন্ত্রটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের লোক এসে এটিকে ঠিক করার চেষ্টা করে। ১১ জানুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যন্ত্রটি মেরামতের সম্ভাব্য খরচসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজার বরাবর চিঠি পাঠিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) এস এম আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন সাত থেকে দশজন রোগী এই হাসপাতাল থেকে সিটি স্ক্যান করান। ওষুধ ছাড়া মাথা সিটি স্ক্যান করতে দুই হাজার টাকা, বুক আড়াই হাজার টাকা ও পেট সিটি স্ক্যান করাতে চার হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাইরে করাতে এর খরচ হয় পর্যায়ক্রমে চার হাজার, সাত হাজার ও বারো হাজার টাকা।

স্বামীকে সিটি স্ক্যান করাতে গতকাল সোমবার কয়রা থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন আনোয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। মাথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ডাক্তার বলেছে সিটি স্ক্যান করাতে হবে। কিন্তু এখানে এসে শুনছি, এ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করা যাবে না। বাইরে থেকে করাতে হবে। বাইরে থেকে করাতে অনেক টাকা লাগবে। এত টাকা কীভাবে জোগাড় করব বুঝতে পারছি না।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) আনন্দ মোহন সাহা বলেন, সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ৭ জানুয়ারি থেকে চলছে না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।