২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা ভাবা হচ্ছে

সাবের হোসেন চৌধুরী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হবে। জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের বছরে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভর্তুকি দিতে হয়। আগামী ৯ বছরের মধ্যে এটা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু কর্মীদের আয়োজনে পিপল টু বাইডেন ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী এ কথা বলেন। বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনাবিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি) ও পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান), এনজিও ফোরাম অন এডিবি, শ্রীলঙ্কার সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস, নেপালের ডিগো বিকাশ ইনস্টিটিউট, ভারতের গ্রোথওয়াচ ও মাইনস মিনারেলস অ্যান্ড পিপল (এমএমপি) এবং পাকিস্তানের কিষান রাবিতা কমিটি যৌথভাবে এ ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে। ২২ ও ২৩ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট সামনে রেখে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, শুধু উন্নত দেশগুলোর দিকে অভিযোগের তির ছুড়লে চলবে না। পরিবেশ রক্ষায় নিজেদেরও নজর দিতে হবে। স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নত দেশকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বললে কোনো ফল আসবে না। জাতীয়ভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সমতার মান বজায় না রাখতে পারলে উন্নত দেশগুলোকে তা মানতে বাধ্য করা যায় না।

শ্রীলঙ্কার সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হেমন্ত উইথানাগে, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (প্রান) প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম, পাকিস্তানের কিষান রাবিতা কমিটির ফারুক তারিক, নেপালের ডিগো বিকাশ কেন্দ্রের কর্মসূচি পরিচালক অভিষেক শ্রেষ্ঠ প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিজ্ঞপ্তি।