২৫ বুয়েটছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন আদালত

আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। আগামী ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে ইমরুল কায়েস আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে। সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল শুনানির সময় আদালতে বলেন, ইতিমধ্যে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে আবরার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২২ জনকে কারাগার থেকে আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। কয়েকজন আসামির পক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত তখন তাদের আইনজীবীদের বলেন, এসব আবেদনের শুনানি করবেন যে আদালতে মামলাটির বিচার হবে। ওই আদালতেই যেন তারা এসব আবেদন জমা দেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির একজন ১২ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই আসামির নাম মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম। ৫ জানুয়ারি বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার পলাতক আসামির নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচারের নির্দেশ দেন আদালত। সেদিন পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোক সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ঠিক ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়। তাদের নিজেদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। একই সঙ্গে সেদিন তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির আদেশ দেওয়া হয়।

এই মামলায় পলাতক তিন আসামি হলেন বুয়েটছাত্র মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গত ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজশে শিবির সন্দেহে আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।