২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালন বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে রোববার বেলা দুইটায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালন বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে রোববার বেলা দুইটায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো

দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। এ লক্ষ্যে দেশের সব জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে এই দিবস পালন করা হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে এক মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহবুব কবীর এসব কথা জানান। ‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে বিরাজমান চ্যালেঞ্জসমূহ এবং করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সেফ অ্যাগ্রো ফুড ইফোর্টস।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহবুব কবীর বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে নয়, বরং ইচ্ছে করে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ঘটনা বেশি হচ্ছে। এটা খুবই খারাপ আর লজ্জার। ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীরাও খাদ্যে বা ফসলে ভেজাল দিচ্ছেন। শুধু সচেতনতা দিয়ে হবে না।

মাহবুব কবীর আরও বলেন, ‘সচেতনতা দিয়ে রাস্তার ছোট ব্যবসায়ীকে হয়তো থামানো যাবে। কিন্তু যারা বড় ব্যবসায়ী, তিনিও কিন্তু ভেজাল দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। জাতিগতভাবে আমরা একসঙ্গে উঠে না এলে এই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে সে আইন বাস্তবায়ন যারা করবে, সেই বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে জনবলসংকট রয়েছে। সেখানে রয়েছেন ৩৫ জন। এই কর্তৃপক্ষ তো টিকভাবে কাজই করতে পারছে না।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সিনিয়র ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন, বাংলাদেশ সেফ অ্যাগ্রো ফুড ইফোর্টসের সভাপতি মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।