৩ মামলায় অভিযোগ গঠন: ফটোসাংবাদিক শফিকুলের আবেদন খারিজ

ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এ আদেশ বাতিল চেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি আবেদন করেন শফিকুল ইসলাম, যা আজ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে শফিকুলের পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে তিনটি আবেদন করা হয়। অথচ আপিল করার নিয়ম প্রক্রিয়াগত ক্রুটির কারণে আদালত আবেদন বিবেচনা না করার কথা জানান। তখন আবেদনকারীর আইনজীবী আবেদন ফেরত নিতে চান। এরপর আদালত আবেদনগুলো উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন। ফলে মামলা তিনটির কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

২০২০ সালের ৯ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান। একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আরও দুটি মামলা করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ১০ মার্চ ঢাকার বকশীবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। ‘নিখোঁজের’ ৫৩ দিন পর ওই বছরের ২ মে ফটোসাংবাদিক শফিকুলের খোঁজ পাওয়া যায়। গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সীমান্তের একটি মাঠ থেকে শফিকুলকে উদ্ধার করা হয়।

বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তারের পর শফিকুলের বিরুদ্ধে প্রথমে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা করে পুলিশ। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের একাধিক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তারের প্রায় আট মাস পর ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।