৪১১টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৩১৪টি বন্ধ

ইটভাটা
ফাইল ছবি

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকার আশপাশের ৫ জেলার ৪১১টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৩১৪টি বন্ধ অথবা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার হাজির হয়ে এমন তথ্য জানান তিনি।

গত ২০ এপ্রিল হাইকোর্ট অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন বিষয়ে জানাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলার প্রশাসককে ১৭ মে আদালতে হাজির হতে বলেন। এ অনুসারে গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জেলা প্রশাসকেরা আদালতে উপস্থিত হন। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে নেওয়া কার্যক্রমের তথ্য তাঁরা পর্যায়ক্রমে আদালতে তুলে ধরেন। শুনানি নিয়ে আদালত এসব তথ্য ও বক্তব্য লিখিতভাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩১ মে দিন রেখেছেন আদালত।

ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৬৭টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১০২টি ইটভাটা ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি ৬৫টি বন্ধ আছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ৪৬টি অবৈধ ইটভাটার সব কটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, ১৬১টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৩৯টি নিয়ে মামলা চলমান। অবৈধ ১৭টি ইটভাটা বন্ধ আছে। বাকিগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান।

মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, অবৈধ ২৬টি ইটভাটার সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, ১১টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১০টি বন্ধ করা হয়েছে। অপর একটি নিয়ে মামলা রয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কার্যক্রম তুলে ধরেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ।

এরপর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করীম শুনানিতে ছিলেন।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, বন্ধ করা ইটভাটাগুলো আবার চলছে। যে কারণে এই নাটক বন্ধ হওয়ার জন্য যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শুনানিতে বলেছি।’

‘ঢাকার বাতাসে নতুন বিপদ’ শিরোনামে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট করে।