কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কংগাই ও মাইজখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪১৯ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য মাত্র তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে কংগাই বিদ্যালয়ে একজন ও মাইজখারে দুজন শিক্ষক আছেন। এ অবস্থায় বিদ্যালয় দুটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের কংগাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে ২১৫ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস (পাঠদান)। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ চারটি। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দুজন ও ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একজন শিক্ষক অবসরে যান। এরপর আর ওই বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক দেওয়া হয়নি। সহকারী শিক্ষক রাবেয়া আক্তার একাই প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন।
এ প্রসঙ্গে রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে এনে কিছু ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। অন্য কাজ আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।’
এদিকে মাইজখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৮৬ সালে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০৪ জন। শিক্ষকের পদ চারটি। বর্তমানে আমি ও আরও একজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষকসংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কংগাই বিদ্যালয়ের অবস্থান প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এ কারণে সেখানে কোনো শিক্ষক যেতে চান না। আর মাইজখার বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দুজন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন গতকাল রোববার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে দুটি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এরপর বদলির নীতিমালার কারণে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্য পদগুলো পূরণ করা যায়নি। মার্চ মাসে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সামনে নতুন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে। তখন শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে। এখন প্রেষণে শিক্ষক আনার প্রক্রিয়া চলছে।