৪৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা কী, জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

সান্ধ্য কোর্স বন্ধসহ কয়েকটি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পরামর্শ না মানায় ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জানিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে ইউজিসিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে গত ২৯ মে রিটটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় এই অর্থ তছরুপের অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ইউজিসি ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করাসহ কিছু পরামর্শ দেয়। এই পরামর্শ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেনে চলতে আইনগত বাধ্য। তবে এর বাস্তবায়ন দেখা যায় না। অনুসন্ধানে ক্যাব জানতে পারে যে ইউজিসির পরামর্শ না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ক্যাব-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন দেয়। ফল না পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে রিটটি করে।

আরও পড়ুন

রুলে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ইউজিসির দেওয়া পরামর্শ বাস্তবায়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং পরামর্শ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন