৭০ হাজার টাকার যন্ত্রের কাজ মাত্র ১২০ টাকায়!

ক্যাম্পাইলোব্যাকটার ব্যাকটেরিয়া মানুষ ও পশুপাখির ডায়রিয়া রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। গবেষণাগারে এই ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, বাজারে তার দাম ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে তৈরি করা একটি যন্ত্রে এটি শনাক্ত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের শিক্ষক এস এম লুৎফুল কবির।
লুৎফুল কবিরের নতুন যন্ত্রের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শনাক্তের বিষয়টি সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
মুরগি, পশু ও মানুষের ডায়রিয়া এবং বিভিন্ন খাদ্য-নমুনা থেকে ক্যাম্পাইলোব্যাকটার শনাক্ত করা হয়। লুৎফুল কবির দাবি করেন, বাংলাদেশে তিনি প্রথম এই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি জানান, গবেষণাগারে ওই ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা হয় সঠিক চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ৭০ হাজার টাকার যন্ত্রের বদলে কয়েকটি ছোট ও একটি বড় প্লাস্টিকের পাত্র দিয়ে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রের মূল্য পড়বে মাত্র ১২০ টাকা। ছোট ছোট প্লাস্টিকের কয়েকটি পাত্র (আগার প্লেট) একটির পর একটি বসিয়ে দেওয়া হয়। নিচে থাকে একটি বড় পাত্র। সবার ওপরের পাত্রে নমুনা বসানো হয়। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করা যায়।
নিজের উদ্ভাবিত যন্ত্রের মাধ্যমে ওই ব্যাকটেরিয়া শনাক্তকরণে গবেষণা করেছেন লুৎফুল কবির। এতে সফলও হয়েছেন। সম্প্রতি জাপানের ওসাকা প্রিফেকচার ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকাশিত জার্নাল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি সাময়িকীতে এটি প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া লুৎফুল কবির ‘আগার প্লেট রোটাটর’ নামক আরেকটি আধুনিক ও সহজে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন; যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত ও ব্যাকটেরিয়ার কোষ গণনা সম্ভব। তাঁর উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও যন্ত্র দুটি বাংলাদেশের যেকোনো মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের উপযোগী বলে জানান তিনি।