'বাংলা একাডেমী' বানান পরিবর্তন হচ্ছে

বাংলা একাডেমীর ‘একাডেমী’ বানান পরিবর্তন হচ্ছে। একাডেমী বানানের ‘মী’-এর পরিবর্তে ‘মি’ লিখতে হবে। অর্থাৎ ‘বাংলা একাডেমী’ লিখতে হবে ‘বাংলা একাডেমি’। সরকার বাংলা একাডেমীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করছে। ইতিমধ্যে এই আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পেয়েছে। সংসদে উত্থাপন হয়েছে। আগামী অধিবেশনের শুরুতেই আইনটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মধ্য সেপ্টেম্বরে আইনটি পাস হলে তখন থেকেই নতুন বানানে বাংলা একাডেমী লিখতে হবে।
‘বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩’ পাস হলে বাংলা একাডেমী পাবে বাংলায় আইন। এত দিন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাংলা একাডেমী চলত, যা ছিল ইংরেজিতে। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, বানানরীতি অনুযায়ী ‘একাডেমী’ শব্দটি এসেছে বিদেশি শব্দ থেকে। এটি কোনো তৎসম শব্দ নয়। তাই এর বানান পরিবর্তন করে ‘একাডেমি’ করা হচ্ছে। আইন পাস হলেই এই বানান কার্যকর হবে। মহাপরিচালক বলেন, অনেকেই ‘একাডেমী’র ভুল বানানের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলা বানানরীতিতে এটা ভুল। তাই এটি পরিবর্তন করা হচ্ছে। বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তারা বলেছেন, বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকেই বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। এ জন্য ১৯৫৭ সালে প্রথম ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দ্বিতীয়বার করা আইন দিয়ে একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ‘বাংলা একাডেমী অর্ডিনেন্স ১৯৭৮’ দিয়ে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। কর্মকর্তারা বলেন, ঐতিহ্যগত কারণে একাডেমী বানান পরিবর্তন করা হয়নি। বলা যায় ব্যতিক্রম হিসেবে একাডেমীতে ‘ঈ’কার ব্যবহার হয়ে আসছে। বিদেশি বানান হিসেবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘ই’ কার দিয়ে একাডেমি লেখা হচ্ছে। আইন হলে একাডেমি বানান একটি একক রূপ পাবে।