প্রথম আলো: নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে খননকাজে আপনার আগ্রহ জন্মেছিল কী কারণে? কেন মনে হয়েছিল যে এখানে একটি প্রাচীন সভ্যতা থাকতে পারে?
সুফী মোস্তাফিজুর রহমান: ১৯৯৬ সালে মহাস্থানগড়ে আমি আমার পিএইচডির কাজ শুরু করি। পিএইচডি কাজের অংশ হিসেবেই মহাস্থানগড়ের ধাঁচের একটি অঞ্চল হিসেবে উয়ারী-বটেশ্বরে যাই। দিলীপকুমার চক্রবর্তীর বইটি আমার আগেই পড়া ছিল। উয়ারী-বটেশ্বর যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, তা প্রথম ১৯৩০-এর দশকেই স্থানীয় স্কুলশিক্ষক হানিফ পাঠান বলেছিলেন। তাঁর ছেলে স্কুলশিক্ষক হাবিবুল্লা পাঠানও এ কথা বহুদিন ধরেই বলছিলেন। সমস্যা হলো, তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত সমাজে স্কুলশিক্ষকদের আমরা খুব বেশি গুরুত্ব দিই না। আমার পিএইচডি শেষ হওয়ার পর ২০০০ সাল থেকে আমি উয়ারী-বটেশ্বরে খননকাজ শুরু করি। এর আগেও জাতীয় জাদুঘরের একাধিক কর্মকর্তা সেখানে গেছেন, কিন্তু আধুনিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক পন্থায় সেখানে খননকাজ হয়নি। স্থানীয় কৃষকেরা জমি চাষ করতে গিয়ে বা বৃষ্টির সময় মাটি সরে গেলে বিভিন্ন সময় মুদ্রা বা পুঁতি পাওয়া গেছে।
প্র আ: তরুণ প্রত্নতাত্ত্বিক হিসেবে খননকাজে কোনো বাধা পাননি? আমাদের দেশে প্রত্নতত্ত্ব অনুশীলনের সার্বিক অবস্থা কেমন? পর্যাপ্ত আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পাওয়া যায়?
সুফী: প্রথম যখন উয়ারী-বটেশ্বরে খননকাজ করতে চাই, সে অভিজ্ঞতা এক করুণ কাহিনি। পর্যাপ্ত টাকা ছিল না বলে ২০০০ সালে আমি ‘বঙ্গীয় শিল্পকলা চর্চা আন্তর্জাতিক কেন্দ্র’-এর কর্ণধার এনামুল হকের কাছে যাই। শুধু খননকাজ শুরু করার জন্য আমাকে এই চুক্তিতে রাজি হতে হয় যে তাঁরা আমার আবিষ্কারের স্বত্বের অর্ধেক কিনে নেবেন। তারপরও নিয়মিত টাকা পাইনি। ২০০৫ নাগাদ কোনো কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাকে সাহায্য করে। ২০০৯ সালে দুটো সরকারি অনুদান পাই। সত্যি বলতে, উয়ারী-বটেশ্বরে কাজ তো সবে শুরু হয়েছে। পূর্ব ভারত ও ভারতের ইতিহাস জানতে এই প্রত্ন এলাকায় আরও দীর্ঘস্থায়ী খনন ও সংরক্ষণ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে ‘বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা নূহ-উল-আলম লেনিনের নাম না করলেই নয়। তিনি আমাকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে উয়ারী-বটেশ্বর এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিক্রমপুরে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎখননের কাজে তহবিল সংগ্রহে সহায়তা করেছেন। এই হচ্ছে সার্বিক পরিস্থিতি।
প্র আ: উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধান বইটিতে আপনারা বলেছেন, উয়ারী-বটেশ্বর ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৬ থেকে ৪ শতকের একটি রাজ্য—ষোড়শ মহা জনপদের সমসাময়িক মগধ, কাশী, কোশল, লিচ্ছ্ববিরই মতো। এর প্রমাণ একটু বিশদ করবেন?
সুফী: হ্যাঁ, এই মুহূর্তে তার নাম বা বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া না গেলেও বোঝা যাচ্ছে যে সেটি তেমন একটি রাজ্যই ছিল। উয়ারী-বটেশ্বর ছিল সেই রাজ্যের রাজধানী। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দিলীপকুমার চক্রবর্তী এই মতে সমর্থন দিয়েছেন যে উয়ারী-বটেশ্বর হতে পারে সেই রাজ্যের রাজধানী। এর ভেতরেই দুর্গ-নগর এবং বাণিজ্য-নগর হিসেবে উয়ারী-বটেশ্বরের চরিত্র অনেকটা উন্মোচিত হয়েছে। টলেমির জিওগ্রাফিয়ায় সৌনাগড়া নামক একটি বাণিজ্য-নগরের কথা উল্লেখ আছে।
প্র আ: টলেমি কি গঙ্গাঋদ্ধি বা বাংলা পর্যন্ত এসেছিলেন?
সুফী: না, আসেননি। আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারে বসে বাংলাসহ ভারতবর্ষের ইতিহাস এবং গ্রিকদের সঙ্গে যুদ্ধ ও বাণিজ্যের সূত্র ধরে এই অঞ্চলের যোগাযোগের বিষয়টি তিনি লিখেছেন মূলত ভারত বা বাংলা পর্যন্ত আসা নানা বণিক দলের আসা-যাওয়ার বিবরণের ওপর ভিত্তি করে। যা হোক, অধ্যাপক দিলীপকুমার চক্রবর্তী প্রথম এমন মত দেন যে উয়ারী-বটেশ্বর ছিল টলেমি উল্লিখিত সেই সৌনাগড়া। সেখানে আমাদের উৎখননে পাওয়া নানা প্রত্নবস্তুর সঙ্গে স্যান্ডউইচ কাচের পুঁতি, স্বর্ণাবৃত কাচের পুঁতি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার এক বর্ণিল টানা কাচের পুঁতি পাওয়া যায়। পুঁতি বিশেষজ্ঞ পিটার ফ্রান্সিস জুনিয়র মনে করেন, ঐতিহাসিক যুগে স্যান্ডউইচ কাচের পুঁতি মধ্যপ্রাচ্য বা মিসর থেকে ভারতবর্ষে আমদানি করা হয়েছিল। উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া স্যান্ডউইচ কাচের পুঁতি জানাচ্ছে যে অতীতে রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাণিজ্য যোগাযোগ ছিল।
এ ছাড়া উয়ারী-বটেশ্বরে আমরা পেয়েছি রোলেটেড মৃৎপাত্র, যা ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার, ওয়্যারড বা ব্রোঞ্জের নবযুক্ত মৃৎপাত্র—যা থাইল্যান্ড বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এবং উত্তর ভারতীয় কালো মসৃণ মৃৎপাত্র—যা ওই সব অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্যের সাক্ষ্য দেয়। অনুমান করা যায়, জল ও স্থল দুই পথেই উয়ারী-বটেশ্বরের সঙ্গে বহির্বাণিজ্য হতো।
প্র আ: সম্প্রতি বিক্রমপুরেও আপনি কিছু উৎখননের কাজ শুরু করেছেন...
সুফী: বিক্রমপুরের কথা বলব। তার আগে উয়ারী-বটেশ্বর নিয়ে আরও কথা আছে।
প্র আ: নানা লেখায় আপনি বলেছেন যে উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর। সিল্করুট বা রেশমপথের সঙ্গে এর যোগাযোগ ছিল। আপনি এ-ও দাবি করেছেন যে উয়ারী-বটেশ্বরই ইতিহাসখ্যাত গঙ্গাঋদ্ধি অঞ্চল। একটু ব্যাখ্যা করুন।
সুফী: বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত বা বৌদ্ধশাস্ত্র ‘মঞ্জুশ্রী’সহ এই অঞ্চলের নানা গ্রন্থ থেকে জানা যাচ্ছে, ‘ষোড়শ মহা জনপদে’র কথা বলা হলেও গোটা ভারতবর্ষে প্রাচীন যুগে মোট ১৭৫টি জনপদ ছিল। এসব গ্রন্থে ‘লৌহিত্য’ জনপদের কথা বলা হয়েছে যা কিনা ‘লৌহিত্য’ নদের তীরে অবস্থিত। ব্রহ্মপুত্রের আরেক নাম লৌহিত্য। উয়ারী-বটেশ্বরের অবস্থান ব্রহ্মপুত্রের তীরে। প্রাচীন যুগে ভারতবর্ষের সব জনপদে দুই ধরনের মুদ্রা পাওয়া যেত—জনপদ শ্রেণি মুদ্রা বা লোকাল কয়েন এবং সাম্রাজ্য মুদ্রা। উয়ারী-বটেশ্বরে এমন মুদ্রা পাওয়া গেছে।
আমরা অনুমান করছি, উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর। এই এলাকার পাশের শুকনো কয়রা নদী খাতের চিহ্ন এবং অল্প দূরে প্রবাহিত পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের অবস্থান এর নদীবন্দরের অস্তিত্বের আভাস দেয়। টলেমির জিওগ্রাফিয়ার বিবরণ অনুযায়ী দিলীপকুমার চক্রবর্তী অনুমান করেন, আদি-ঐতিহাসিক যুগে উয়ারী-বটেশ্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও রোমান সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক মালামাল সংগ্রহ ও বিতরণের সওদাগরি আড়ত হিসেবে কাজ করত।
প্রাচীন গ্রিক ও লাতিন বিবরণে ভারতবর্ষের একটি জনগোষ্ঠী বা একটি দেশের নাম হিসেবে গঙ্গাঋদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। তারা কারা? কোথায় ছিল তাদের বাস? খ্রিষ্টপূর্ব ৪ শতকে মেসিডোনিয়ার রাজা আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। উন্নত সমরাস্ত্রের জোরে গ্রিক বাহিনী জয়লাভ করলেও তাদের মনোবলে চিড় ধরে যায়। এ অবস্থায় তাঁর শিবিরে খবর পৌঁছাল যে পূর্বে প্রাসিয়াই বলে একটি দেশ আছে, আর সেই দেশের পূর্বে গঙ্গাঋদ্ধি নামে আছে আরও একটি দেশ। রণহস্তীর জন্য কোনো রাজা সেই দেশ জয় করতে পারে না। বলা হয়েছে যে ৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে গঙ্গাঋদ্ধির রাজা ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাঁর ছয় হাজার পদাতিক, এক হাজার অশ্বারোহী ও ৭০০ হস্তীবাহিনী ছিল। প্রাচীন এ জাতির বাসস্থান হিসেবে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা, হুগলি, হাওড়া ও মেদিনীপুর জেলা এবং বর্ধমান জেলার কিছু অংশ ও বর্তমান বাংলাদেশের পদ্মার—অর্থাৎ পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার সম্মিলিত ধারার—মুখ পর্যন্ত ভৌগোলিক সীমা অনুমান করা গেলেও নির্দিষ্ট সীমানা চিহ্নিত করা যায়নি। হাবিবুল্লা পাঠান প্রথম এই প্রশ্ন তোলেন যে সেই বসতি কি উয়ারী-বটেশ্বরে ছিল? জানা যায়, বিখ্যাত সমুদ্রবন্দর গাঙ্গে ছিল গঙ্গাঋদ্ধির রাজধানী। সেই বন্দর থেকে সুদূর পশ্চিমে মসলিন কাপড় রপ্তানি হতো। রাজধানীর কাছে ছিল সোনার খনি। পশ্চিমবঙ্গের তমলুক এবং চন্দ্রকেতুগড়কে অনেকে প্রাচীন গাঙ্গে বন্দর হিসেবে শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। তবে তথ্য কম বলে নগরটির সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনো শনাক্ত করা যায়নি। সম্প্রতি আবিষ্কৃত নানা প্রত্নবস্তুর আলোকে বলা যায়, উয়ারী-বটেশ্বরই সম্ভবত ছিল আলেকজান্ডারের সময়কালের গঙ্গাঋদ্ধির অংশ। এ আবিষ্কারের আলোয় দিন দিন উজ্জ্বল হচ্ছে যে ২৩০০ বছরের প্রাচীন ২৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্ববিখ্যাত সিল্করুটের সঙ্গে উয়ারী-বটেশ্বর যুক্ত ছিল।
প্র আ: ‘বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে আপনি তো বিক্রমপুরেও কিছু খননকাজ পরিচালনা করছেন। এখন পর্যন্ত কী কী পেলেন?
সুফী: অতীতে বিক্রমপুর ছিল বঙ্গ ও সমতটের রাজধানী। প্রাচীন তাম্রলিপিতে একে শ্রীবিক্রমপুর-সমাবাসিত-শ্রীমজ্জায় স্কন্ধাবারাৎ অর্থাৎ ‘ভিক্টরি ক্যাম্প’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাচীনকালে ভিক্টরি ক্যাম্প আর রাজধানী সমার্থক ছিল। মোগল আমলে ‘বিক্রমপুর ভুক্তি’ সুবাহ বাঙ্গালার একটি ‘পরগনা’ হিসেবে গণ্য হতো।
অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে বিক্রমপুরের উন্নত সভ্যতায় প্রায় সব প্রত্ন-নিদর্শন কীর্তিনাশা পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়েছে। কিন্তু বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত সাত বছরের শ্রমসাধ্য গবেষণায় রঘুরামপুরে আবিষ্কৃত হয়েছে একটি বৌদ্ধবিহারের কিছু অংশ। মাটির তলায় চাপা পড়া এই বিহারটির সাতটি ভিক্ষুকক্ষ এবং একটি হলঘর উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্রমপুর অঞ্চলে দশম শতাব্দীর অর্থাৎ এক হাজার বছর আগের একটি বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত স্মরণীয় ঘটনা। নানা সূত্রে জানা যায়, মগধের পূর্ব দিকে বাংলায় বিক্রমপুরী নামে একটি বৌদ্ধবিহার ছিল। সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে বিক্রমপুরী বিহারের আশপাশে একাধিক বৌদ্ধবিহার থাকার ইঙ্গিত মিলছে, যা অনেকটা নালন্দা বিহারের মতো। এই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, গবেষণা, সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের কাজ এগিয়ে নেওয়া গেলে বিক্রমপুর বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তীর্থ ও পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
প্র আ: ঢাকা জেলখানায় বর্তমান প্রত্নতাত্ত্বিক খননের কাজ কেমন চলছে?
সুফী: বঙ্গবন্ধুর সেল সংরক্ষণের কাজেই প্রথম আমি জেলখানায় যাই। জেলখানার পুকুরপাড়ে পাতলা ও পুরোনো ইট দেখে মনে হয়, এটি আধুনিক সময়ের হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কারাগারের রোজনামচা বইটিতে ১৯৬৮ সালের ২০ জুন তারিখে লিখছেন, জেলখানায় ইটের ইঁদারায় মাটি ধসে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন, লালবাগ দুর্গের কোনো অংশ জেলখানার মাটির নিচে আছে কি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে আমরা ইতিমধ্যে চার জাতীয় নেতাকে যেখানে বন্দী এবং হত্যা করা হয়েছিল সেই সেলসহ মোট আটটি এলাকা শনাক্ত করতে পেরেছি, যেখানে দুই থেকে আড়াই হাজার বছরের আগের রোলেটেড মৃৎপাত্র, মুদ্রাসহ এমন নানা প্রত্নবস্তু পাওয়া গেছে। এসব প্রমাণ করবে যে ঢাকার সূচনা মোগলরা আসারও কত আগে।
অদিতি ফাল্গুনী: কথাসাহিতি্যক।
সুফী মোস্তাফিজের প্রত্নখনন
খননকাজ
উয়ারী বটেশ্বর ২০০০
বিক্রমপুর ২০১০
কেন্দ্রীয় কারাগার ২০১৭
প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ
সাভার অঞ্চল ১৯৮৯
গাইবান্ধা অঞ্চল ১৯৯১
বগুড়া জেলা ১৯৯৬—১৯৯৯
উয়ারী বটেশ্বর অঞ্চল ১৯৯৬
বিক্রমপুর অঞ্চল ২০১১