'ব্লু ইকোনমি অথরিটি' গঠনের সুপারিশ

দেশের সমুদ্রসীমায় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ব্লু ইকোনমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আজ রোববার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে জানানো হয়, এখন বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকা এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের আয়তনের প্রায় ৮২ শতাংশ। এই সমুদ্র এলাকায় মৎস্য সম্পদ, তেল-গ্যাস ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ সম্পদ আহরণ এবং সমুদ্র পরিবহন-সুবিধা বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের এই ‘ব্লু ইকোনমির’ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে গত ফেব্রুয়ারিতে অস্থায়ী ব্লু ইকোনমি সেল গঠন করা হয়েছে। ব্লু ইকোনমির সঙ্গে সরকারের ১৭টি মন্ত্রণালয় এবং ১২টি সংস্থা জড়িত।
বৈঠকে জানানো হয়, এই সেলটি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন একটি অস্থায়ী সেল। এর আইনগত কর্তৃত্ব না থাকায় এই সেলের সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে অন্যদের আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। অস্থায়ী হওয়ায় এই সেলকে কোনো আর্থিক বরাদ্দও দেওয়া হয় না। তাই এই সেলকে স্থায়ী করা বা আইনের মাধ্যমে একটি ব্লু ইকোনমি কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করার সুপারিশ করে।
জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি আইনের মাধ্যমে ‘ব্লু ইকোনমি অথরিটি’ করার সুপারিশ করেছে। তাঁরা বলেছেন, এই কর্তৃপক্ষ হলে এর কাজের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের বিষয় থাকবে। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে আইনি ক্ষমতা দিতে হবে।
তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, এম এ লতিফ, আতিউর রহমান ও আবু জাহির বৈঠকে অংশ নেন।