হত্যা ও সম্পদ ধ্বংসের দায়ে সরকারের পদত্যাগ চায় সাদা দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা ও সম্পদ ধ্বংসের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারা সরকারকে দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে।

আজ শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতা হত্যা, নিপীড়ন, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করে সাদা দল। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার এলাকার সড়ক ঘুরে দোয়েল চত্বর দিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংহতি সমাবেশ হয়।

সমাবেশে সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘অতীতে কোনো আন্দোলনেই এত তাজা প্রাণ যায়নি। আমরা শেখ হাসিনার সরকার ও মন্ত্রিপরিষদের পদত্যাগ চাই।’ তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য মামুন আহমেদ সরকারের উদ্দেশে বলেন, হত্যার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শত মানুষের রক্তের দাগ এই সরকারের হাত থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।

সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আড়াই শতাধিক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করতে হবে।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, যারা হত্যা করেছে, তাদের কাছে বিচার চাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। হত্যা ও সম্পদ ধ্বংসের দায় নিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগের পর একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে। সেই সরকারের কাজ হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এই সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত সাদা দল আন্দোলন-সংগ্রামে থাকবে।

কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন লুৎফর রহমান।

সাদা দলের সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বক্তব্য দেন।