এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে কাজ চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
ফাইল ছবি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগের অধীন হয়ে থাকে। এই বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এটি নির্বাহী বিভাগের অধীন হওয়া উচিত। এ কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন এনআইডি কার্যক্রম আনার কার্যক্রম চলমান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল এ কথা বলেছেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০৭ সালে একটি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীর অধীন একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের ‘বাইপ্রোডাক্ট’ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রমটি শুরু হয়। এটি ছিল সাময়িক পদক্ষেপ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমের ব্যাপ্তি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম শুধু ভোটার বা ১৮ বছরের বেশি নাগরিকের জন্য নয়; বরং সব নাগরিকের জন্য প্রাসঙ্গিক। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাব খোলা, চাকরির আবেদন, ইউটিলিটি (সেবা খাতে) সংযোগ, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীন বিভিন্ন ভাতার আবেদন, খাসজমিপ্রাপ্তির আবেদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয় মাত্র একটি। অন্যান্য ক্ষেত্রে এনআইডি ব্যবহারের বিষয়ে ইসির (নির্বাচন কমিশন) কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিস্তার রোধসহ মাদকাসক্ত ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাসহ চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধ করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, চুরি, ছিনতাই ও মাদক পরিবহন বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে; মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনপূর্বক তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে মাদকের বিস্তার রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে চুরি, ছিনতাই, মাদক ইত্যাদির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।