ছুরিকাঘাতে নিহত খাতুনগঞ্জের শ্রমিক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি

খাতুনগঞ্জের সড়কে সমাবেশে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান।
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের শ্রমিক মো. মাসুদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাসুদকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর পরিবারকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

দরিদ্র পরিবারটির ভরসা ছিলেন মাসুদ। এখন তাঁর স্ত্রী–সন্তানেরা কী নিয়ে বাঁচবেন, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। মাসুদ হত্যার বিচার হতেই হবে। পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, মাসুদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এ ঘটনার বিচার হবে। পাশাপাশি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মাসুদের পরিবারকে সহায়তা করতে হবে। এ জন্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা মিলে একটি ট্রাস্ট গঠন করা যেতে পারে।

খাতুনগঞ্জের সড়কে এ সমাবেশ হয়। এতে কয়েক শ শ্রমিক ও ব্যবসায়ী অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল হক, শ্রমিকদের সংগঠন বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইব্রাহিম, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, মাসুদের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঘটনার দুই দিন পার হলেও এখনো আসামি ধরা পড়েনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় মেসার্স সামির ট্রেডিংয়ের শ্রমিক মো. মাসুদকে দোকান থেকে টেনে বের করে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে গাড়িচালক মো. রাসেলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই গাড়িচালক রাসেলকে এক নম্বর আসামি করে মামলা হয়। তবে তিন দিন পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এতে দেশের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শ্রমিকেরা দফায় দফায় বৈঠক করে কর্মবিরতি সাময়িক প্রত্যাহার করে নেন।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর তথ্য, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করেন। শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করায় সোমবার রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পণ্য কোথাও যায়নি। কারণ, শ্রমিকেরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা গুদাম থেকে পণ্য নিয়ে গাড়িতে তোলেন। একইভাবে গাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে গুদামে রাখেন।