বহির্বিশ্বে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা। ৩১ মার্চ
ছবি: পিআইডি

বহির্বিশ্বে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সাংবাদিকসহ সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ রোববার রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে দেশের ইতিবাচক দিক বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে তা যদি দেশবিধ্বংসী সমালোচনা হয়, সেটি কখনোই কাম্য নয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, সর্বনিম্ন মাথাপিছু জমি আর ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের দেশে আমরা ধান উৎপাদনে তৃতীয় বা চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ। উন্নয়নের সব সূচকে আমরা পাকিস্তান ও অনেক সূচকে ভারতকেও আরও আগে অতিক্রম করেছি। এই অগ্রগতি বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। দেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।’

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনো নেতিবাচক খবর বাইরের দেশের গণমাধ্যম যত বড় করে প্রকাশ করে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বড় করে প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যম। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আন্তর্জাতিক কোনো ভুঁইফোড় সংগঠন বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক খবর করলে দেশীয় গণমাধ্যম সেটি ফলাও করে প্রচার করে। এটি হওয়া দুঃখজনক।

বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের দলের নেতা বিদেশে থেকে ‘পেইড এজেন্টের’ মাধ্যমে দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালান। আর দেশের মানুষ সেটি দেখে বিভ্রান্ত হয়।

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল, করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এখন আবার শুরু করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জন। এগুলোর বিরুদ্ধে মূল ধারার গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টারস ফোরামের (আইআরএফ) আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

আইআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হকে সঞ্চালনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অণুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, আইআরএফ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাঞ্চন কুমার দে, সিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।