ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে তেমন অগ্রগতি নেই, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কী হয়েছে, কতটা হয়েছে, কতটা হয়নি; এটা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। সামনের দিকে তাকাতে হবে। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। এখন কম জায়গা লাগছে। তাই ছাদ ব্যবহার করতে হবে। আগামী এক থেকে দেড় বছরে দুই হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে।’
সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী নসরুল হামিদ বলেন, কৃষিকাজে কতটা সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, এটা নিয়ে একটা গবেষণা করতে বলা হয়েছে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে। অন্য দেশে কীভাবে, কী হয়েছে, সেটা দেখলে হবে না। বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মতো করে দেখতে হবে।
এর আগে ওয়ার্কশপে বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহনীয় দামে বিদ্যুৎ দিতে আরও সাশ্রয়ী হতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। ঢাকার সব বড় ছাদ ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকোকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্বের সব দেশের বিমানবন্দর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। দেশেও এটি কাজে লাগাতে হবে। স্টেডিয়াম, বড় শিল্পকারখানার ছাদ সবখানে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নিতে হবে। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সৃজনশীল ধারণা নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।