আন্দোলনে নিহত সাদিকুরের মরদেহ তুলতে দেয়নি পরিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদিকুর রহমানের (২৭) মরদেহ উত্তোলন করতে দেয়নি পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের সদস্যরা আপত্তি করেন।
গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদিকুর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় ২২ আগস্ট একটি মামলা করেন তাঁর স্ত্রী শাহিদা খাতুন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদন করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৮ জানুয়ারি আদালত মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে মরদেহ উত্তোলন করতে যাই। কিন্তু পরিবারের আপত্তির করণে মরদেহ উত্তোলন করা যায়নি।’
নিহতের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমার ছেলে ঢাকায় ছাত্র আন্দোলনে মারা গেছে, এলাকাবাসীসহ সবাই জানে। এটার তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে চাই না। প্রয়োজনে আমার লিখিত সাক্ষী দিব।’
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সাদিকুরের পরিবারের সদস্যরা লিখিতভাবে মরদেহ উত্তোলন না করতে অনুরোধ করেন। পরে মরদেহ উত্তোলন না করতে পেরে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যরা নিহত সাদিকুর রহমানের কবর জিয়ারত করে ফিরে যান।