এপ্রিলে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন

চলতি এপ্রিল মাসে ৫৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জনই সরকারি দলের নেতা-কর্মী। এ ছাড়া এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৯৯ জন।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানায়।

সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএসর তথ্য অনুসন্ধানী ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে চলতি এপ্রিল মাসের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে অন্তত ২৭টি হামলার ঘটনায় ৪৭ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৩৩ জন। এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ শ্রমিক তাঁদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন। ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সন্দেহের বশবর্তী হয়ে শ্রমিকদের মারধর করা হয়, এতে দুই শ্রমিক নিহত হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯টি হামলার ঘটনায় ৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন এবং একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এপ্রিল মাসে ১৪৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭২ জন, এর মধ্যে ৪৪ জন ১৮ বছরের কম বয়সী। আর অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো ১৭ জন নারী ও কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ শিশুকে।

মানবাধিকার পরিস্থিতি
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব বিষয় বাস্তবায়ন করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে। তাই ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’র পক্ষ থেকে সরকারকে মানবাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে এবং দেশের সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা ও দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।