মতিঝিল আইডিয়ালের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ

রাজধানীর মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে করা মামলাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৮–এর বিচারক শওকত আলী এ নির্দেশ দেন। ওই আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই শিক্ষার্থীর বাবার আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, মামলা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং সাবেক অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল পুলিশ। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার শুনানির সময় আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওই শিক্ষার্থীও হাজির ছিলেন। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

গত বছরের ১ আগস্ট আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ ওই নালিশি মামলাটি করা হয়। মামলায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সে সময়ের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে। আদালত বাদীর (শিক্ষার্থীর বাবা) জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী মামলাটি থানা-পুলিশ নথিভুক্ত করে।