সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদ ছেড়েছেন আরও ২ উপজেলা চেয়ারম্যান

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পদ ছেড়েছেন আরও দুই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ নিয়ে ৫২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করলেন।
আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগে তাঁদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।

আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আইন অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়। সে আলোকে ৫২ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, চারজন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, চারজন পৌরসভার মেয়র ও একজন জেলা পরিষদের সদস্য পদত্যাগ করেন। সব মিলিয়ে জাতীয় নির্বাচনের অংশ নিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ৬১ জন পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যানদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিকল্প প্রার্থী রাখার কথা বলায় এবং বিএনপিবিহীন নির্বাচনে সহজে জয়ের আশায় তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।

অবশ্য আওয়ামী লীগ নেতারা গত মঙ্গলবার নতুন করে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইচ্ছেমতো হওয়া যাবে না। এতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা কেউ কেউ নতুন করে ভাবছেন যে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন কি না।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রীর কাছে মনোনয়ন চেয়েছি; কিন্তু নেত্রী অন্যজনকে দিয়েছেন। তবে নেত্রী বলেছেন, ভোট উৎসবমুখর ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। সে জন্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’

দিনাজপুর ৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলাকালে চাইলে উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে পারবেন। তখন নির্বাচন কমিশনে শুধু বাড়তি পদত্যাগের কাগজ জমা দিলেই চলবে।

পদত্যাগ করেছেন ৪ পৌরসভার মেয়র

এদিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চার পৌরসভার মেয়র পদত্যাগ করেছেন। তাঁরা হলেন, রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল, ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান এবং বগুড়ার শিবগঞ্জের মেয়র তৌহিদুর রহমান। স্থানীয় সরকার বিভাগে তাঁদের পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে।