২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শিক্ষক হয়রানি বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হয়রানি বন্ধসহ নানা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোট। ঢাকা, ৫ অক্টোবরছবি: সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে ‘পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোট’। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্ছিত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের স্বপদে বহাল ও কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে জোটটি এসব দাবি জানায়। আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সময় জোটের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের হয়রানিতে যুক্ত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি প্রজ্ঞাপন জারি করে অনতিবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকদের স্বপদে বহাল করে তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্থ, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্ছিত ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। স্বার্থলোভীদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হচ্ছেন শিক্ষকেরা। একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় শিক্ষার্থী ও বহিরাগত দুর্বৃত্তরাও শিক্ষকদের হয়রানি করছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পদবঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি/মাউশির বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক/কর্মকর্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/দপ্তর তদন্ত বা অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে বাস্তব চিত্র বিপরীত কথা বলছে। এখনো দেশজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের পদত্যাগ ও হেনস্তা করা হচ্ছে, যা ফৌজদারি ও দণ্ডনীয় অপরাধ।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের মধ্যে আলকাছ উদ্দিন আহমেদ, কেকা রায় চৌধুরী, মো. ইদ্রিস আলী, মহাদেব চন্দ্র দে, নাজমা বেগম, সিদ্দিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।