আরবি ভাষায় পাঠদান বাধ্যতামূলক করাসহ ৭টি দাবি হেফাজতের

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। ঢাকা, ৫ মেছবি: সংগৃহীত

আরব দেশগুলোর শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরবি ভাষায় পাঠদানের বিষয়টি সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করাসহ সাতটি দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও নতুন পাঠ্যপুস্তকের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনার থেকে এসব দাবি তুলেছে হেফাজত। রোববার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হেফাজত ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তাঁর লিখিত বক্তব্য অনুষ্ঠানে পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘জাতীয় পাঠ্যবই নিয়ে একের পর এক বিতর্ক হচ্ছে। কোনো জাতিকে পরাজিত করতে হলে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করাই যথেষ্ট। ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আপনাদের সন্তানদের গড়ে তুলতে হলে এই বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক প্রত্যাখ্যানের বিকল্প নেই।’

সেমিনারে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান আরবি ভাষায় পাঠদান বাধ্যতামূলক করাসহ সাতটি দাবি তুলে ধরেন। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ‘ইসলামি শিক্ষা’ অন্তর্ভুক্ত করা। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়ন তথা বোর্ড পরীক্ষায় ‘ইসলামি শিক্ষা’ বহাল রাখা। ট্রান্সজেন্ডার, বিবর্তনবাদসহ ইসলামবিরোধী সব পাঠ্য রচনা সিলেবাস থেকে অপসারণ করা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) দেশপ্রেমিক ও ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেওয়া এবং ভবিষ্যতে বিতর্ক এড়াতে নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শের আলোকে পাঠ্যবইয়ের পুনঃসংস্করণ করা।

এ ছাড়া ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেফাজতের নায়েবে আমির আ ফ ম খালিদ হোসেন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির খলিল আহমাদ কাসেমী, নায়েবে আমির সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা মাহফুজুল হক প্রমুখ। সেমিনারে সঞ্চালক ছিলেন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী।