নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত দেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, তাঁরা সার্বিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত। জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও বাড়তে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে রানা দাশগুপ্ত বলেন, এটা না হলে সংখ্যালঘুরা আরও হতাশ হয়ে পড়তে পারেন; যা আগামী নির্বাচনে ভোটদানে তাঁদের নিরুৎসাহিত করবে।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘দেবোত্তর সম্পত্তি আইন’–এর খসড়া বিল ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আছে। আর বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া বিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার পর্যায়ে আছে। পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য ভূমি কমিশনও অনেকটা অকার্যকর। এতে পার্বত্য অঞ্চলেও হতাশা বেড়েছে। এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অনতিবিলম্বে এগুলো কার্যকর করা ছাড়া বিকল্প পথ আর খোলা নেই।

‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ অনেক আগে হলেও ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন নিষ্পত্তির হার এখনো আশানুরূপ নয় বলে উল্লেখ করেন ঐক্য পরিষদের এই নেতা। বলেন, আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তি হলেও জেলা প্রশাসকেরা সম্পত্তি দাবিদারদের আইনের সীমার মধ্যে প্রত্যর্পণ করছেন না। এতে তাঁরা হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন।

এদিকে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে যথাসময়ে অবহিত করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংকটের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ছাড়াও তাঁর দলের কয়েকজন সংসদ সদস্য, নেতা ও দলের ভেতরের ‘পরগাছারা’ সম্পৃক্ত। তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে; যাতে আগামী নির্বাচনে তাঁরা কোনোভাবে দলীয় মনোনয়ন না পান।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্য্যাটার্জি। ঐক্য পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, কাজল দেবনাথ, জে এল ভৌমিক, বাসুদেব ধর, মিলন কান্তি দত্ত প্রমুখ।