রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সামর্থ্য ইসির নেই: সিইসি
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সামর্থ্য বা এখতিয়ার কমিশনের নেই। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ সংকট সমাধান করতে পারে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি। তবে বিএনপিসহ ১৮টি দল আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।
২৬টি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে জানিয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল। তারপর কেউ কেউ বলেছেন নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়। কিছু কিছু দল অংশ নিতে পারছে না। এটা কমিশন স্বীকার করেছে। তবে পরিবেশ অনুকূল–প্রতিকূল হওয়াটা আপেক্ষিক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিক যে সংকটগুলো আছে, আমরা বলেছি, সেগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা সব সময় ইতিবাচক। কিন্তু সেই সংকট নিরসন করার সামর্থ্য আমাদের নেই বা আমাদের সে ম্যান্ডেটও নেই। আপনারাও (রাজনৈতিক দল) নিজেদের মধ্যে চেষ্টা করতে পারতেন।’
বৈঠকের আলোচনার কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, আমাদের স্পেস এবং টাইমটা সীমিত। আমরা কিন্তু অনেক বেশি স্পেস নিয়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের জন্য সময়সীমা সংবিধানে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে।’
কেউ পছন্দ করুক বা না করুক ইসি সব সময় বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ আশা করে—এমন মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আমাদের নির্বাচন করব। তাদের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান থাকেবে, আপনারা আসুন। কীভাবে আসবে, সে কোর্সটা আমরা চার্ট করে দিতে পারব না। আপনারা আসুন, আমাদের শুভ কামনা থাকবে। অংশগ্রহণ করে সফল হোক, সে শুভ কামনা থাকবে।’
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত। আমাদের সামর্থ্য সীমিত। আমরা নির্বাচনটা আয়োজন করি। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বটা আমাদের হস্তান্তর করে দিতে হয়। তাদের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে।’