মারামারি
প্রতীকী ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাকে ছাত্রলীগের ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের’ প্রকাশ বলে আখ্যা দিয়েছেন নবগঠিত ছাত্রসংগঠনটির নেতারা। হামলার বিচার দাবি করে সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, আত্মপ্রকাশের দিনেই ছাত্রশক্তির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছাত্রশক্তির নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে গত বুধবার দুপুরে নতুন ছাত্রসংগঠনের ঘোষণা দেওয়ার পর ক্যাম্পাস ছাড়ার পথে পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। যদিও ছাত্রলীগের নেতারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রশক্তির আত্মপ্রকাশ ঘিরে আমরা মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলাম। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনের আগে ক্যানটিনের দখলে নেয় ছাত্রলীগ। পরে আমরা ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। হামলার ঘটনাটি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ। এই ঘটনার বিচার করা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। 

ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা মোটরসাইকেলে করে এসে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলা করেই তাঁরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। আমরা জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তা ছাত্রলীগের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ, সেই রাষ্ট্রে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, নির্যাতন কিংবা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য থাকবে না।

আসিফ মাহমুদ বলেন, হামলা করে ছাত্রলীগ আমাদের দমাতে পারবে না। হামলার ঘটনায় আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব৷

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ছাত্রশক্তির নেতা আরিফ সোহেল, আবু বাকের মজুমদার, রাফিয়া রেহনুমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।