পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নে আবার মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ৩ মাসে ফল প্রকাশের নির্দেশ
পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় দেন। পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নপ্রক্রিয়া বাতিলসংক্রান্ত গত ১৪ জানুয়ারির বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে পৃথক চারটি রিট করেন কয়েকজন প্রার্থী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
রিট আবেদনকারীপক্ষের তথ্য অনুসারে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। গত বছরের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ন হন। এরপর গত বছরের ২৫ মে থেকে গত ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচিতদের ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মনোনয়নপ্রক্রিয়া বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা যথাশিগগির সম্ভব পুনরায় নেওয়া হবে। এ অবস্থায় ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে পৃথক চারটি রিট করেন কয়েকজন প্রার্থী।
রায়ের পর রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষা হলেও ফলাফল প্রকাশ না করে মনোনয়নপ্রক্রিয়া বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়নে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি অনুসারে যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায় পাওয়ায় তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এ রায় দিয়েছেন।’