নতুন ‘নাগরিক সেবা’ কী, কীভাবে পাওয়া যাবে

পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশান–১ নম্বরে অবস্থিত নাগরিক সেবাকেন্দ্রছবি: প্রথম আলো

পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, জিডি (সাধারণ ডায়েরি) ও ভূমি সেবাসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এ লক্ষ্যে কয়েকটি সেবা নিয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্রের পাইলট কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

বর্তমানে এসব কেন্দ্রে সরকারি সেবার ক্ষেত্রে শুধু আবেদনপ্রক্রিয়া–সংক্রান্ত সেবা পাওয়া যাবে। সরকারের লক্ষ্য হলো—সব সেবাকে পারস্পরিক কার্যক্রম সুবিধার (ইন্টার-অপারেবিলিটি) মাধ্যমে একটি গেটওয়ে করা এবং এসব কেন্দ্র থেকেই পুরো সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা। গেটওয়ে হলো নেটওয়ার্ক যন্ত্র, যা একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।

‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে ২৬ মে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘নাগরিক সেবা’ নামের এ ধরনের কেন্দ্রের পাইলট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও নীলক্ষেত এলাকায় নাগরিক সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গুলশান ও উত্তরার কেন্দ্রে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নীলক্ষেত কেন্দ্রে শিগগির কাজ শুরু হবে।

৩০ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে ‘নাগরিক সেবা’ নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, এক ঠিকানায় সরকারি সব নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে এই প্ল্যাটফর্মে। এ উদ্যোগের জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা যা নাগরিক সেবাকেন্দ্রে এখনই নেওয়া যাবে, তার তালিকা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘নাগরিক সেবা’র উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে, হয়রানি রোধে ও ভোগান্তিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

নাগরিক সেবাকেন্দ্র কীভাবে কাজ করবে

২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গুলশান সেবাকেন্দ্রে দেখা যায়, কেন্দ্র গোছানোর কাজ এখনো কিছুটা বাকি আছে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উদ্যোক্তারা বলেন, এখনই কেউ সেবা নিতে এলে তা দেওয়া যাবে।

গুলশান-১ এ বিটিসিএলের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের দুটি কক্ষে শুরু হয়েছে নাগরিক সেবাকেন্দ্র। পাইলট প্রকল্পের আওতায় সরকারি উদ্যোগেই এই কেন্দ্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রে উদ্যোক্তা হিসেবে আছেন মো. বশিরুল ইসলাম, মীর ফাতেমা আক্তার ও মো. জাহিদ হাসান। তাঁরা বলেন, ২৭ মে থেকেই সেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত। দু-এক দিনের মধ্যে কেন্দ্র গোছানোর কাজ শেষ হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সেবাকেন্দ্র খোলা থাকবে।

মো. জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, খাজনা, মিউটেশন এবং অনলাইন জিডির আবেদনপ্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের সহায়তা করবেন তাঁরা। এই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁরা সরকার নির্ধারিত ফি নেবেন। কোন সেবার ফি কত তা তালিকা আকারে কেন্দ্রে টাঙানো থাকবে।

প্রথম দিন সেবা নিতে কোনো গ্রাহক এসেছেন কি না—জানতে চাইলে উদ্যোক্তা জাহিদ বলেন, সকালের দিকে একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের বিষয়ে তথ্য জেনে গেছেন।

‘নাগরিক সেবা’ প্ল্যাটফর্মের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা হলে এবং কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো চললে পরের ধাপে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী

সেবাকেন্দ্রে আসা গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উদ্যোক্তা বশিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকেরা তথ্য প্রকাশ না করার চুক্তির (নন–ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট) আওতায় আসবেন। উদ্যোক্তারা যেসব সংস্থার সেবা দেবেন, সেসব সংস্থা থেকেও তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

‘নাগরিক সেবা’ প্ল্যাটফর্ম কীভাবে কাজ করবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সব জেলায় একটি করে এ ধরনের সেবাকেন্দ্র থাকবে। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি নিবন্ধন করেছেন। এর বাইরে কওমি উদ্যোক্তা, নারীদের উই নেটওয়ার্ক এবং পোস্টাল উদ্যোক্তারাও যুক্ত হবেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শেষে পরীক্ষা নেওয়া হবে। উত্তীর্ণদের উদ্যোক্তা হিসেবে সনদ দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, নাগরিক সেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডিং, নির্ধারিত পোশাক, পরিচয়পত্র ও সরকারি সনদ থাকবে। এসব কেন্দ্রে উচ্চগতি ও মানের ইন্টারনেট–সেবা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হবে। এ ধরনের একটি সেবাকেন্দ্র স্থাপনে ঋণসহায়তার জন্যও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার আলোচনা করবে। সরকারি, আধা-সরকারি অফিস, পোস্ট অফিস, বিটিসিএলের মতো অফিসে কেন্দ্রের জন্য জায়গা বিবেচনা করা হবে।

আরও যেসব সেবা যুক্ত হতে পারে

‘নাগরিক সেবা’ সম্পর্কে ৩ মে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এসব কেন্দ্র আবেদন ছাড়াও পূর্ণাঙ্গ সেবা পেতে সহায়তা করবে।

অর্থাৎ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাসপোর্ট সেবার জন্য একজন নাগরিক এসব কেন্দ্রে গেলে আবেদনের পর সেখানে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ দেওয়া, ছবি তোলার কাজও সম্পন্ন করতে পারবেন। কেন্দ্রের সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারী উদ্যোক্তারা সেবাকেন্দ্র থেকেই গ্রাহকের এসব আবেদনসংশ্লিষ্ট সেবাদাতা কার্যালয়ে পাঠাবেন। আবেদনের জন্য নাগরিককে ওই কার্যালয়ে আর যেতে হবে না।

২৭ মে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাগরিক সেবা’ প্ল্যাটফর্মের জন্য অর্থায়নের ব্যবস্থা হলে এবং কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো চললে পরের ধাপে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স, ট্রেড মার্ক, বিভিন্ন সরকারি আবেদনসহ প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী জানান, উদ্যোক্তারা শুধু ‘নাগরিক সেবা’র সফটওয়্যারে ইনপুট দিতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের জন্য এখনো সরকারের কোনো বাজেট নেই। আইসিটি বিভাগের নিজস্ব প্রোগ্রামাররা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করছে। উদ্যোক্তারা নিজেদের খরচে এই কেন্দ্রের অবকাঠামো গড়ে তুলবেন। তবে নাগরিক সেবার সরকারি ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করতে হবে। নিকটস্থ সেবাকেন্দ্রের অবস্থান ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। ওয়েবসাইটে উদ্যোক্তাদের র‌্যাঙ্কিং থাকবে এবং অভিযোগও জানানো যাবে।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে দুটি করে সেবা চাওয়া হয়েছে, যা এই নাগরিক সেবার আওতায় আনা যায়। মন্ত্রণালয় তথ্য দেওয়া শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

ইউডিসি থাকতে ‘নাগরিক সেবা’ কেন

‘নাগরিক সেবা’ যে ধরনের কাঠামো ও উদ্দেশ্য নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে, প্রায় একই রকম সেবা বিদ্যমান ব্যবস্থায় আছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) প্ল্যাটফর্মও প্রায় একই আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১০ সালে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এটুআইয়ের উদ্যোগে সারা দেশে ইউডিসি গড়ে তোলে। এটুআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ৮ হাজার ৮০৫টি ইউডিসিতে সাড়ে ১৬ হাজারের মতো উদ্যোক্তা আছে। এখান থেকে ৩ তিন শতাধিক সেবা দেওয়া হয়। ইউডিসিও চলে উদ্যোক্তা মডেলে। অর্থাৎ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আবেদনের পর সরকারের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা সেবা দেন। অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবার আবেদন, ভর্তির আবেদন, সরকারি বিভিন্ন ভাতার আবেদন, ভূমি সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মোবাইল ব্যাংকিং, ভিসার আবেদন, চাকরির আবেদনের মতো বিভিন্ন সেবা ইউডিসি থেকে দেওয়া হয় বলে এটুআইয়ের ওয়েবসাইটে বলা আছে।

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাসপোর্ট সেবার জন্য একজন নাগরিক এসব কেন্দ্রে গেলে আবেদনের পর সেখানে আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশ দেওয়া, ছবি তোলার কাজও সম্পন্ন করতে পারবেন।

ইউডিসি প্রসঙ্গে ৩ মে ফয়েজ আহমদ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, অনেক ইউডিসি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় কার্যক্রম ঠিকভাবে চলে না। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টে এ ব্যাপারে বলা হয়েছিল, ইউডিসিগুলোকে নাগরিক সেবার প্ল্যাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। ইউডিসির উদ্যোক্তাদের নাগরিক প্ল্যাটফর্মে আবেদন করে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সনদ নিয়ে তাঁরাও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সেবা দিতে পারবেন।

ইউডিসিকে উন্নীত করে একই কাজ করা যেত কি না—জানতে চাইলে ২৭ মে ফয়েজ আহমদ বলেন, ইউডিসি ইন্টার-অপারেবল নয়, এখানে শুধু ব্যক্তি উদ্যোগে আবেদন হয়। কিন্তু নাগরিক সেবা প্ল্যাটফর্মে সরকারের সব সেবাদাতা সংস্থা যুক্ত থাকবে। যেকোনো সংস্থার সেবার জন্য এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট সংস্থায় তা চলে যাবে।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, এ জন্য তাঁরা ইন্টার-অপারেবিলিটি ও ডেটা গভর্ন্যান্স আইন করতে যাচ্ছেন, যা দিয়ে এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে আদান-প্রদান হওয়া নাগরিকের তথ্যও সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন
নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য এই কেন্দ্রে আছেন সরকারি প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তা
ছবি: প্রথম আলো

ইউডিসি ও নাগরিক সেবার মতো প্রায় একই মডেলে আইসিটি বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা আইসিটি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২৩ সালে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট নামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। যেখানে বলা হয়, সারা দেশে ৮ হাজার ৩৬০টি স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট তৈরি করা হবে। যেখানে এসব পয়েন্টের উদ্যোক্তাদের সরকার শুধু প্রশিক্ষণ দেবে। উদ্যোক্তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব পয়েন্ট তৈরি করবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষতা ও শিক্ষার অভাবে জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ডিজিটাল নাগরিক সেবা গ্রহণের জন্য স্থানীয় কম্পিউটারের দোকানের সহায়তায় নেয়। এই কম্পিউটারের দোকানগুলোকে সরকারি অংশীদারত্বের আওতায় আনা হবে।

৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়। সরকার পতনের পর এটা নিয়ে আর কাজ হয়নি। তবে আইসিটি বিভাগের সংস্কার পরিকল্পনার ডিসেম্বরে হালনাগাদকরণ তালিকায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট প্রকল্প প্রস্তাবকে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে ধরা হয়।

এ প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ বলেন, অন্য কোনো প্রকল্পের বিষয় এখানে যুক্ত নেই।

‘নাগরিক সেবা’র উদ্যোগটিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এটা সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে পারলে মানুষের হয়রানি কমবে। তবে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এর কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। মানুষের ব্যক্তিগত অনেক তথ্য নিয়ে এসব কেন্দ্রে কাজ হবে। সরকার উপাত্ত সুরক্ষা আইন করতে যাচ্ছে। সেই আইনের সঙ্গে এ বিষয়টি কীভাবে যাবে এবং মানুষের উপাত্তের সুরক্ষা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, সে প্রশ্ন আসবে।

অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন আরও বলেন, ইউডিসি মডেল যেখানে আছে, সেটার সমস্যা চিহ্নিত করে সেটাকেই আরও উন্নীত করা যেত কি না, এবং রাজনৈতিক যে বিবেচনায় ইউডিসির উদ্যোক্তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন, সেটা নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করবে, তা পরিষ্কার হতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের কেন্দ্র চালানোর জন্য শক্তিশালী ইন্টারনেট অবকাঠামোর নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

আরও পড়ুন