রাজবাড়ীতে মা-মেয়েদের মারধরের মামলায় জামিন পেলেন কাউন্সিলর

আদালত
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীতে মা ও দুই মেয়েকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশকে (৪৩) জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমীন এ আদেশ দেন। সরকারি কৌঁসুলি উজির আলী শেখ জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুর রহমান রাজবাড়ী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাড়ি পৌরসভার বিনোদপুরের ভাজনচালা এলাকায়।

২০ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান দোকান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই মা ও তাঁর দুই মেয়েকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাতেই মাহবুবুরসহ দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সৈয়দা সামসুন্নাহার (৪৫)। ওই দিনগত রাতে কাউন্সিলরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে ‘মা ও দুই মেয়েকে মারধর, কাউন্সিলর কারাগারে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও বাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সৈয়দা সামসুন্নাহারের স্বামী মারা যান। তাঁদের তিন সন্তান। বড় মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং মেজ মেয়ে রাজবাড়ী সরকারি কলেজে পড়েন। আর ছোট মেয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাঁরা বিনোদপুরের নিউ কলোনি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পরিবারের আয়ের কোনো উৎস না থাকায় রেলওয়ের কাছ থেকে সরকারি নিয়ম মেনে জমি ইজারা নিয়েছেন। সেখানে একটি দোকানঘর বানানো হচ্ছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাউন্সিলর মাহাবুবুর, মো. বাবুসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন গিয়ে তাঁদের ঘর তৈরিতে বাধা দেন। একপর্যায়ে সামসুন্নাহারকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তাঁরা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বড় মেয়ে এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর করেন। পরে তাঁরা চলে যান।

সৈয়দা সামসুন্নাহার অভিযোগ করেছেন, মামলা তুলে নিতে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রেলের কোয়ার্টারে থাকতেন। রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সরাসরি ও মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকেই মীমাংসা করতে বলছেন। কিন্তু তাঁরা ঘটনার বিচার চান।

এর আগে কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে রেলওয়ের প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সদর ও রেলওয়ে থানায় মামলা আছে। এ নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর শেষের পাতায় ‘রাজবাড়ী পৌরসভা/কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।