দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহারের পর দপ্তরও বদল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের পর এবার তাঁর দপ্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল কাজী সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিসংক্রান্ত অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এখন তাঁকে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা (এনআইএস) ও ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগেইনস্ট করাপশনের (ইউএনসিএসি) ফোকাল পয়েন্টের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে যে অনুসন্ধান চলছে, তদারককারী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের কারণে সেটা বিঘ্নিত হবে না।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আক্তার হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিসংক্রান্ত অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো বিতর্ক যাতে না হয় সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী।