কার ‘ইশারায়’ বারবার হয়রানির শিকার সলিমুল্লাহ এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক হারুন
জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় রামপুরা থানার একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তাঁকে। যদিও মামলার বাদী তাঁকে চেনেন না। ওই মামলা থেকে নাম কাটাতে এক দফায় তাঁর কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আদায় করে একটি চক্র। পরে র্যাব পরিচয়ে আরও বেশি অর্থ আদায় করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন র্যাব ও সেনাবাহিনীর সাবেক দুই সদস্যসহ তিনজন। এর সাড়ে তিন মাসের মাথায় সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
ওই ব্যক্তি পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ। গ্রেপ্তারের পর জানা গেল, কেবল রামপুরা থানা নয়, জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় নিউমার্কেট থানা ও কোতোয়ালি থানার দুটি মামলায়ও তিনি আসামি।
হারুনের পুলিশি হয়রানির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এতিমখানার উন্নয়নের নামে নামমাত্র মূল্যে প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে আট বিঘা জমি একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি এবং অসম চুক্তিতে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে ২০১২ সালে আন্দোলনে নেমেছিলেন হারুন। তখন তাঁকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে গুম করে রেখেছিল। তখন থেকেই প্রভাবশালী একটি মহল হারুনকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। এমনকি ২০২৩ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা হয়। ওই মামলার নেপথ্যে ছিলেন লালবাগ অঞ্চলের তৎকালীন কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। এবার জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলার ঢালাও আসামির তালিকায় হারুনের নাম এসেছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলায় গত ১৯ মার্চ হারুনকে আজিমপুর থেকে গ্রেপ্তার করল পিবিআই।
যদিও এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে, মামলা হলেই কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলেই কেবল আসামিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অথচ জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় হারুন জড়িত—এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনো পায়নি পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। এরপরও তাঁকে গ্রেপ্তার করায় পিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর বন্ধু-স্বজনেরা।
জুলাই আন্দোলনের মামলায় হারুন অর রশীদকে ফাঁসানো হচ্ছে, এমন কথা তিনি গত ডিসেম্বরের শুরুতে প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে র্যাব পরিচয়ে একটি চক্র তাঁর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। গ্রেপ্তার এড়াতে ভয়ে তিনি এই চক্রের হাতে ২ লাখ টাকা এবং ৮ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন। পরে ৮ লাখ নগদ টাকার জন্য চক্রের সদস্যরা তাঁকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। বিষয়টি তিনি তখন যৌথ বাহিনীকে জানান। পরে ১ ডিসেম্বর এতিমখানায় টাকা নিতে আসা সাবেক সেনাসদস্য সিরাজুল ইসলাম, র্যাব-১০–এর তৎকালীন সদস্য শাহীনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় তিনি লালবাগ থানায় মামলা করেন। চাঁদা নেওয়ার ঘটনার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন সিরাজুল।
এদিকে গত ১৯ মার্চ পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে আছেন হারুন। গ্রেপ্তারের পরদিন ২০ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। ওই দিন আদালত চত্বরে সাবেক সেনাসদস্য সিরাজুল ইসলামকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন হারুনের এক বন্ধু। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। হারুন অর রশীদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বন্ধু বাকী বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, হারুনকে আদালতে হাজির করার দিন (২০ মার্চ) আদালত চত্বরে সিরাজুলকে দেখা গেছে। সিরাজুল জামিনে বেরিয়ে এসে হারুনকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন।
তবে সিরাজুল অভিযোগ অস্বীকার করেন। উল্টো তাঁর অভিযোগ, হারুনই তাঁকে কৌশলে ডেকে নিয়ে মামলায় ফাঁসিয়েছেন। আর তিনি আদালতে গিয়েছিলেন তাঁর নিজের মামলার খোঁজখবর নিতে। সিরাজুল অবশ্য জানান, হারুন তাঁর পূর্বপরিচিত। আজিমপুর এলাকার আওয়ামী লীগের তৎকালীন কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের মাধ্যমে হারুনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল।
হারুন জড়িত কি না, জানে না পিবিআই
গত ১৯ জুলাই বনশ্রী এলাকায় নিহত হন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ জাবির। এ ঘটনায় তাঁর বাবা নওশের আলী নালিশি মামলা করেন গত ২৪ নভেম্বর। পরে ৪ জানুয়ারি রামপুরা থানায় নথিভুক্ত এ মামলায় হারুনসহ আসামির তালিকায় রয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক আইজিপি ও পুলিশের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এর বাইরে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, আজমপুর ও লালবাগ এলাকার অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও রয়েছেন আসামির তালিকায়। হারুনকে ‘আওয়ামী লীগ নেতা’ উল্লেখ করে মামলার ৩৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি কখনো রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। অর্থাৎ এ মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করার ঘটনা ঘটেছে।
পিবিআই বলছে, হারুন আওয়ামী লীগের একজন নেতা। যদিও তিনি দলীয় কোনো পদে ছিলেন কি না, সেটি তারা জানাতে পারেনি।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হারুনের ছবি দেখিয়েছেন। তবে হারুনের দলীয় পদ তিনি জানেন না। হারুন হত্যায় জড়িত কি না, তা জানতে রিমান্ডে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে হারুনকে আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমতিয়াজ হত্যায় হারুন জড়িত—এমন যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন, এজাহারে নাম থাকার কারণেই হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি না, তদন্তের পরই বিষয়টি বলা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢালাওভাবে আসামি করা মামলার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনা, তা উপেক্ষা করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর সারা দেশে ঢালাওভাবে অনেক ব্যক্তিকে আসামি করে একের পর এক মামলা করার তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এ পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিল, সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হারুনকে চেনেন না বাদী-সাক্ষী
রামপুরার বনশ্রীতে নিহত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ জাবিরের বাবা ও মামলার বাদী নওশের আলী থাকেন যশোরে। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হারুনকে চিনতেন না। তবে বনশ্রী এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেছেন, হারুন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক নেতার সঙ্গে হারুনের ছবি রয়েছে। এ কারণে হারুনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার চারজন সাক্ষীর একজন ইমতিয়াজের মামা ইশতিয়াক আহম্মেদ। তিনিও হারুনকে চেনেন না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। ইশতিয়াক বলেন, হারুনকে আসামি করা ঠিক হয়নি। তিনি (হারুন) কীভাবে আসামি হলেন, সেটি তিনি জানেন না। পুলিশ সদস্যসহ এ হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন ইশতিয়াক।
হারুনের বন্ধু-স্বজনেরা বলছেন, তিনি কখনো আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। বরং ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি গুম কমিশনে অভিযোগও করেছিলেন।
‘পুরোনো বিরোধেই নতুন করে রোষানলে হারুন’
হারুন গ্রেপ্তার হওয়ার আগের দিন অর্থাৎ গত ১৮ মার্চ ঢাকার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাতেও হারুনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নিউমার্কেট থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামির তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।
হারুনের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, পুরোনো বিরোধের জেরেই হারুনকে নতুন করে রোষানলে পড়তে হয়েছে। মূলত এতিমখানার সম্পত্তি রক্ষা ও অসম চুক্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ছিলেন হারুন। এই সম্পত্তি হস্তান্তর নিয়ে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন এতিমখানার তৎকালীন চারজন শিক্ষার্থী। ওই চার শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন হারুন। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে বহুতল ভবন এবং ওখানে থাকা সব সম্পত্তি ও স্থাপনা এতিমখানা ও এতিমদের সুবিধার্থে এবং ব্যবহারের লক্ষ্যে এতিমখানার অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ রায় দেন আপিল বিভাগ। এই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে পরের বছর আবাসন প্রতিষ্ঠানটি আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদন ২০২২ সালের ৯ জুন আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।
হারুনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বন্ধু বাকী বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের রায়ে সম্পত্তি ও ভবনের মালিকানা ফিরে পেলেও চক্রটি তাঁকে বারবার বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। সেই পুরোনো বিরোধ থেকেই এখনো হারুনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্ত চলছে।
হারুনের বন্ধু বাকী বিল্লাহ আরও বলেন, চক্রটি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও হারুনকে বিপদে ফেলেছিল। ভবন নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে গুমের শিকার হয়েছিলেন হারুন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়েছিলেন। তৎকালীন কাউন্সিলর হাসিবুর তাঁকে অপহরণ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রতারক চক্রের সহায়তায় হারুনকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের ঘটনায় জড়িত দেখিয়ে ঢালাও মামলায় আসামি করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর সারা দেশে ঢালাওভাবে অনেক ব্যক্তিকে আসামি করে একের পর এক মামলা হয়। অনেকে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলার আসামি করে হয়রানি শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছিল, সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গত নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ঢালাও মামলার একটা খুব মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে, এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কারের কথা ভাবছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।’
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘ঢালাও আসামি করলে তদন্তে সময় বেশি লাগছে এবং নির্দোষ ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এ জন্য পত্রপত্রিকায় এর আগেও বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে ক্রিমিনাল (দোষী) ধরতে, সাধারণ মানুষকে নয়।’
জুলাই আন্দোলনের সময়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অনেক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। এসব ফুটেজে দেখে অনেক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এমন অনেক আসামি এখনো ধরা পড়েনি। অপর দিকে ঢালাও আসামির তালিকায় থাকা এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদকে গ্রেপ্তারে পুলিশের সক্রিয়তার পেছনে অন্য কিছু আছে কি না, প্রশ্ন রয়েছে।