‘আনন্দ ঘণ্টা’র উদ্বোধন হলো উদয়ন স্কুলে

কিশোর আলো আয়োজিত আনন্দ ঘণ্টা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরা। রাজধানীর উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২৭ সেপ্টেম্বর
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

এখনকার শিশু-কিশোরদের আনন্দ-বিনোদনের অনেকটাই মুঠোফোন বা কম্পিউটার-নির্ভর। পর্দার বাইরেও যে আনন্দের অনেক উপকরণ আছে, সে কথা তারা ভুলতে বসেছে, এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আর তাই নতুন প্রজন্মের ভাবনার জগৎ আরও প্রসারিত করতে মাসিক ম্যাগাজিন কিশোর আলো দেশের বিভিন্ন স্কুলে চলে যাচ্ছে ‘আনন্দ ঘণ্টা’ নিয়ে!

অনলাইন নয়, এই আয়োজনে গুণীজনেরা শিক্ষার্থীদের কাছে সরাসরি উপস্থিত হচ্ছেন অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য, শিক্ষামূলক কর্মশালা, জাদু, গান আর কুইজ নিয়ে। এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়ে গেল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

ড্যান কেকের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, ড্যান কেকের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা শাহীদ বিন সারওয়ার এবং উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম।

কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সবার আগে বক্তব্য দেন জহুরা বেগম। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তিনি গানও পরিবেশন করেন। আহ্বান জানান ভুবনজুড়ে আনন্দধারা বইয়ে দেওয়ার। ভাষাবিষয়ক কর্মশালায় অধ্যাপক তারিক মনজুর বাংলা বানান নিয়ে কিছু মজার কৌশল শিখিয়ে দেন। কে জানত হাতের পাঁচ আঙুলের সাহায্যে বাংলা ব্যাকরণের কঠিন নিয়ম মনে রাখা যায়! ধাঁধা কিংবা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীরা এ সময় কিশোর আলো ও ড্যান কেকের সৌজন্যে পুরস্কার জিতে নিতে শুরু করে।

কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হক শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বই পড়লে মানুষের কল্পনা শক্তি বাড়ে। আনিসুল হকের সঙ্গে সব শিক্ষার্থী উচ্চ স্বরে তিনটি ‘ম’কে ‘না’ বলে। মিথ্যা, মাদক এবং না বুঝে মুখস্থ করা, এই তিন ‘ম’ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করেন তিনি। বক্তব্যের মধ্যেই কুইজের মতো করে তিনি প্রশ্ন করেন। সঠিক উত্তর দেওয়া শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থী গান গেয়ে ও কবিতা আবৃত্তি করে জিতে নেয় আকর্ষণীয় পুরস্কার।

আনন্দ ঘণ্টার অন্যতম আকর্ষণ ছিল জাদুকর স্বপন দিনারের জাদু। চোখের সামনে আগুন বা তাপ ছাড়াই চাল থেকে মুড়ি হয়ে গেল তাঁর জাদুতে! সেই মুড়ি আবার খেয়ে পরখও করে দেখে শিক্ষার্থীরা। জমজমাট জাদু প্রদর্শনের পর বক্তব্য দেন শাহীদ বিন সারোয়ার। সবাইকে শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে বলেন তিনি।

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মেহরাবের গান ছিল সবশেষে। সবার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান পরিবেশন করেন তিনি। তাঁর গানের পর সবাই একসঙ্গে ছবি তোলা আর অটোগ্রাফ নেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় আনন্দ ঘণ্টা।

আগামী ১ অক্টোবর কিশোর আলোর জন্মদিনে এই আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে।