আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে আদালত অবমাননার অভিযোগে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসে আপিল বিভাগে একটি আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে যাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে অবমাননায় বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে বিএনপিপন্থী ও সমমনা ১৯৫ জন আইনজীবী পৃথক আবেদন করেছেন। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দুটি বুধবার দায়ের করা হয়।
এদিকে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আবেদনটি আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবার কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ১৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে গত ২৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন। এতে বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার, লিফলেটসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল ও অবস্থানের ছবি যুক্ত করা হয়। যে সাত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আবেদনটি করা হয়, তাঁরা হলেন কায়সার কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা নাসরিন, মো. আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, মো. রুহুল কুদ্দুস, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম।
আইনজীবী নাজমুল হুদার করা আবেদনটি গত ৩০ আগস্ট আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আপিল বিভাগ আদালত প্রাঙ্গণে সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, মানববন্ধন ও ধর্মঘট না করতে হাইকোর্টের ২০০৫ সালের ২৩ মে দেওয়া আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে সবাইকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার আবেদনটি শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এই আবেদন শুনানির এক দিন আগে আবেদনে ‘অবমাননাকারী’ হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে ১৯৫ আইনজীবী পৃথক আবেদন করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় আবেদন ১২৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
পক্ষভুক্ত হতে চাওয়া ১৯৫ আইনজীবীর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, শাহ আহমেদ বাদল, কে এম জাবির, সৈয়দ মামুন মাহবুব প্রমুখ রয়েছেন।