আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে শামসুলের আপিলের শুনানি শুরু

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামালপুরের শামসুল হকের (বদর ভাই) সাত বছর আগে করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

ওই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় থেকে কয়েকজন সাক্ষীকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বুধবার এ শুনানি গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। শামসুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন।  

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে কয়েকজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক দিনের জন্য শুনানি মুলতবি করেন। আগামী মঙ্গলবার আপিলের ওপর শুনানি হতে পারে। এই মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি এস এম ইউসুফ আলীর আপিলও সেদিন শুনানির জন্য আসবে।’

ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আট আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় শামসুল এবং ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তিনজনসহ অপর ছয় আসামি বিচারের সময় পলাতক ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে একই বছর আপিল করেন শামসুল ও ইউসুফ।

ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের করা আপিলের ওপর সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি হয়। কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এক যুগের বেশি সময়ে ৫২টি মামলার রায় হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর দণ্ডিত ব্যক্তিদের করা আপিলসহ পরবর্তী সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে শীর্ষ পর্যায়ের সাত আসামির দণ্ড কার্যকর হয়েছে। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় কয়েকজন দণ্ডিত আসামি মারা যাওয়ায় তাঁদের আপিল অ্যাবেটেড (সমাপ্তি) ঘোষণা করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।