মাদক বিক্রি নিয়ে ইউপি সদস্য ও ছাত্রলীগের দ্বন্দ্ব, দুজনকে কুপিয়ে জখম

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের জিৎপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মাদক বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন আহত তৌহিদুল ইসলাম।

তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়া নিয়ে আবদুল কাইয়ুমের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। গতকাল রাতে তিনি ও তাঁর এক অনুসারী জাফর আহমদ স্থানীয় জিৎপুর-ভাদাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. জাবেদ, রিয়াদ ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম, মো. রাব্বি, মো. রায়হান, মো. সোহেল, জাহাঙ্গীর আলমসহ ১২-১৫ জন মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর হাত, পা ও পিঠে এবং জাফরের হাত, মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর শরীরে ৩২টি ও জাফরের শরীরে ২৫টি সেলাই করা হয়েছে।

মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রবিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা শুনে তিনি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে এসে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এতে দলীয় কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।