বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা রোগী বাড়ছে: সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

বায়ুদূষণের কারণে দেশে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি হলে সংগত কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু দেশে বায়ুদূষণ বেশি, সে ক্ষেত্রে অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস্বার্থে বায়ুদূষণ শূন্যের কোটায় আনার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময় বায়ুদূষণ রোধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তিনি তুলে ধরেন।

দেশে ৬৮৭৬ ইটভাটা

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডলের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ইটভাটার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৩৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব ঘটনায় ৪ হাজার ৪৩৬টি মামলা হয়েছে। ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ১১১ কোটি ৫০ লাখ ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করাসহ ১ হাজার ১৮০টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

অর্পিত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে ১ লাখ মামলা

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ নাথের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, সারা দেশে ‘ক’ তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১০টি মামলা করা হয়। যার ৩৩ হাজার ৮৯২টির রায় ঘোষিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭১৪টি মামলায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে রায় হয়েছে; যাতে সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ১১৫ দশমিক ৯১ একর।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাতিলকৃত ‘খ’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাবি করে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৮টি নামজারির আবেদন দাখিল করা হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে।