বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তিতে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না: আদানি গোষ্ঠী

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনায় মূল্যছাড় চাইছে বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে প্রকাশিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানা গেছে। তবে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তির শর্ত নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা হচ্ছে না বলে আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়াকে ৩ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে আদানি গোষ্ঠী জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মূল্যছাড়ের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে জানতে আদানি গ্রুপের মুখপাত্র ভারসা চৈনানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। তিনি এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না জানিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গোষ্ঠী কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বেশি দাম দিতে হবে বাংলাদেশকে।

এ ছাড়া চুক্তির শর্তে বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির কয়লা কী দামে কেনা হবে, তার উল্লেখ নেই। এর মানে বাংলাদেশকে কয়লার জন্য বাড়তি মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বিদেশে একাধিক কয়লাখনি আছে আদানি গোষ্ঠীর। বাংলাদেশকে দেওয়ার জন্য নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সম্ভবত এসব খনি থেকেই কয়লা আমদানি করবে আদানি গোষ্ঠী। এই কয়লা আমদানি হবে আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন জাহাজে করে তাদেরই মালিকানাধীন বন্দরের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন

আদানি গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাঁদের অস্বস্তির বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির শর্ত নিয়ে নতুন করে আলোচনার কথাও বলেন তাঁরা। তবে এর মধ্যেই আদানি গোষ্ঠী জানিয়ে দিল, চুক্তির শর্ত নিয়ে নতুন করো আলোচনা হচ্ছে না।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিতে আদানির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ২ ফেব্রুয়ারি বলেন, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি একটি সার্বভৌম সরকারের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। এর সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেই তাঁর ধারণা।